শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

ঘাড়ে ব্যথা

আমরা সামনের দিকে তাকাই। আমাদের চোখ সামনের দিকেই দেখে। আমাদের কানও প্রধানত সামনের দিকেই শোনে। আমরা যখন পড়ি, বসি, লিখি বা শুধু হাঁটি তখন আমাদের মাথা স্বভাবতই সামনের দিকে ঝুঁকে আসে। এতে মাথাটি ঠিকমতো ধরে রাখতে গিয়ে ঘাড়ে চাপ পড়ে। মাথাটির ওজন একটি টেনিস বলের সমান নয়, আরও বেশি। ঘাড়ের এ চাপে মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা দিতে পারে বা ঘাড় ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘাড় ব্যথা তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নিলে ঠিক করা যায়। কোনো ওষুধ নাও লাগতে পারে। এখানে এমন কিছু সহজ টিপস দেওয়া হলো।

* ব্যথা কমানো এবং প্রদাহ দূর করার জন্য বেদনানাশক ওষুধ সেবন করুন।

* নরম সারভাইকাল কলার লাগান। এটি ঘাড়ের মাংসপেশি ও হাড়কে বিশ্রাম দেবে। পরে এটি ১০ দিনের বেশি ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এতে মাংসপেশিকে দুর্বল করে দিতে পারে বা ব্যথা বাড়তে পারে।

*গরম অথবা ঠাণ্ডা সেক দিন। উভয় ব্যবস্থায় ব্যথা কমে। 
* যে কোনো কাজ করার সময় পিঠ ও ঘাড় সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
* শক্ত বিছানায় চিৎ হয়ে এবং শরীর সোজা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
বিশেষ কিছু ব্যায়াম ঘাড় ও পিঠের মাংসপেশিকে সবল করে_
* উভয় কাঁধ উপরে দিকে ৩ সেকেন্ড তুলে রাখুন। এটি কয়েকবার করুন।
* এক পাশের কাঁধ ধীরে ধীরে উপরে তুলে ঘাড়ের সঙ্গে চেপে ধরুন। ১০ সেকেন্ড চেপে ধরে রেখে তারপর নামিয়ে আনুন। 
* দুই হাতকে দু'পাশে আরাম করে ঝুলিয়ে রাখুন। তারপর হাত দুটি সামনে-পেছনে দোলাতে থাকুন। বেশ কয়েকবার করুন। 
* প্রতি হাতে এক বা ২ পাউন্ড ওজন নিন। তারপর কোমরের ওপর ভর রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে আসুন। পিঠ সোজা এবং হাত দুটি দু'পাশে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। অতঃপর হাত দুটি ওজনসহ আস্তে আস্তে উপরে তুলুন এবং নামাতে থাকুন। যদি ঠিক সোজা রাখতে কষ্ট হয় তবে পেটের ওপর ভর রেখে মেঝেতে শুয়ে পড়তে পারেন। 
* ভালো হাতকে অর্ধেক ভাজ করে এনে কাঁধ বরাবর রাখুন। এবার বাম হাত দিয়ে ডান কাঁধে আলতো চাপ দিয়ে ডান হাত সামনে-পেছনে ধীরে ধীরে নাড়াতে থাকুন।
এসব নিয়ম মেনে চললে সহজেই ঘাড় ব্যথা থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন