রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১১

মানসিক রোগ/সমস্যা : অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ


ক্রোধ আসলে একটি সাধারণ সুস্থ মানবিক আবেগ। তবে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ ক্ষতিকারক যা প্রায়ই দৈনন্দিন জীবনধারা, সাংসারিক সম্পর্ক ও জীবনের স্বাভাবিক গুণগতমান নষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। ক্রোধ হলো এমন এক ধরনের আবেগ যা বিরক্তিবোধ থেকে গভীর আক্রোশ ও উন্মুক্ত উত্তেজনা পর্যন্ত বিস্তৃত। কিছু লোক সত্যিকার অর্থে ক্ষেপাটে প্রকৃতির। তারা সহজেই সামান্য কারণে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হতাশা, বিড়ন্বনা ও বিরক্তি সহসাই তাদের বিচলিত করে, কোন কিছুই তারা সহজভাবে নিতে পারে না। আসলে এর কারণও বহুবিধ। যেমন শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, বংশগত অথবা হতে পারে সামাজিক সাংস্কৃতিক।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কৌশল

১। শিথিলায়ন - শিথিলায়নের সহজপদ্ধতি যেমন গভীর শ্বাস প্রশ্বাস ও শিথিল চিত্র কল্পনা ক্রোধানুভূতি কমাতে সহায়তা করে।

২। চিন্তা চেতনার পরিবর্তন - রাগী ব্যক্তিরা সাধারণত উচ্চস্বরে কথা বলে অযথা চিৎকার করে, অভিমান করে অহেতুক প্রতিজ্ঞা করে। পজেটিভ ও যৌক্তিক চিন্তা ক্রোধ দমনে বিশেষ সহায়তা করে। যুক্তির কাছে ক্রোধ সবসময়ই পরাভূত হয়। সুতরাং চিন্তায় সবসময় যৌক্তিক হওয়া উচিত। 

৩। সমস্যার সমাধান - প্রায়শই হতাশা এবং ক্রোধ জন্ম নেয় কিছু বাস্তব অপরিবর্তনীয় সমস্যা থেকে। কোন সমস্যার যদি তাৎক্ষণিক কোন সমাধান পাওয়া না যায় তবে সমাধানের পথ না খুঁজে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই শ্রেয়।

৪। ভালো যোগাযোগ - ক্রোধ প্রবন লোকেরা সাধারণত চট করে সিদ্ধান্ত নেয় যা প্রায়শই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। পাশাপাশি অন্যের মতামতের প্রতিও মনোযোগী হওয়া উচিত।

৫। হালকা ঠাট্টা করা - হালকা রসিকতা ক্রোধ দমনে সহায়তা করতে পারে। ক্রোধানুভূতির সময় চটুল বা আকর্ষনীয় আলাপচারিতা, আনন্দময় কল্পনা ক্রোধ দমনে সহায়তা করে। 

৬। পরিবেশের পরিবর্তন - অনেক সময় আপনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আপনার জন্য বিরক্তি ও উত্তেজনার কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আত্ম চিন্তায় ও কর্মে ব্যস্ত থাকুন। প্রয়োজনে স্থান পরিবর্তন করুন।