মাথাব্যথা ছাড়া জীবন প্রায় কল্পনাতীত। লক্ষণীয় বিষয় এই, অধিকাংশ মাথাব্যথাই সাধারণত মানসিক কারণে হয়ে থাকে। মাথাব্যথাকে অবহেলা করলে এটি একটি জটিল রোগে পরিণত হতে পারে।
কেমিক্যাল মেসেঞ্জার সেরোটনিন বা রাসায়নিক সংবাদ প্রেরক সেরোটনিন যাকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার, এই সেরোটনিন নামক পদার্থ অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্কের রক্তনালীর ওপর কাজ করে মাথাব্যথার সৃষ্টি করে। মাথাব্যথা হলেই নিজের ইচ্ছামতো যেনতেন ওষুধ খাওয়া আমাদের চিরাচরিত অভ্যাসÑ যা উচিত নয়।
ছোট থেকে শুরু করে বড় বড় মানসিক রোগেও মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনÑ বিষণœতার কথাই ধরি। বিষণœতা এক প্রকার মানসিক রোগ বা ব্রেন ডিজিজ। বিষণœতাজনিত মানসিক রোগে যে মাথাব্যথা হয় তা মাথাব্যথায় ব্যবহƒত সাধারণ ওষুধে ভালো হয় না। বিষণœতায় সৃষ্ট মাথাব্যথার সঙ্গে থাকে একাকিত্ব বা মন শূন্য এবং খালি খালি লাগার অনুভূতি, অনিদ্রা, কাজেকর্মে অবনতি, খাদ্য গ্রহণের প্রতি অনীহা, অরুচি, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, আÍহত্যার ইচ্ছা জাগা, নিজেকে শেষ করার মনোভাবসহ নানারকম উপসর্গ। তবে এ মাথাব্যথা এলেমেলো বা ভোঁতা ধরনের।
বিষণœতাজনিত মাথাব্যথায় প্রায় সময়ই পুরো মাথা ব্যথা থাকে। ভোরবেলা ও বিকেল বেলায় ভালো না লাগার ভাবটা বেশি থাকে, সঙ্গে থাকে দারুণ অস্থির ভাব। বিষণœতা কি মাথাব্যথার সৃষ্টি করে কিংবা মাথাব্যথার জন্য কি বিষণœতা হতে পারে তা একটি বিতর্কিত ও কঠিন বিষয়। বিষণœতার সঙ্গে জড়িত নিউরোট্রান্সমিটার হল সেরোটনিন যা কিনা মাথাব্যথার সঙ্গে জড়িত। বিষণœতাসম্পন্ন রোগীদেরও মাথাব্যথা থাকতে পারে আর সেজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত চিকিৎসা। সঠিক রোগ নির্ণয় ও বিষণœতার সঠিক চিকিৎসা এর সঙ্গে জড়িত মাথাব্যথাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। বিষণœতার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকলে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষণœতা নিরোধক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়।
আবেগের বিকৃতি বা আবেগজনিত মানসিক সমস্যায় এ মাথাব্যথার উদ্রেক হতে পারে। আবার দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথাও হতে পারে। সাধারণত বিকাল ও সন্ধ্যার সময় বা পরে দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা হতে পারে। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা ধীরে ধীরে তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। মূল উপসর্গগুলো হলÑ মাথার চারপাশে চাপ অনুভূতি, গলা, ঘাড় ও কাঁধের মাংসপেশিতে টানটান ভাব। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার অন্যান্য উপসর্গ হল ঘুমের অসুবিধা, চিন্তাভাবনা করতে অসুবিধা হওয়া, বিরক্তভাব সৃষ্টি হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া। এ ধরনের মাথাব্যথা উজ্জ্বল আলোতে বেড়ে যায়। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, কাজকর্মের মাত্রাতিরিক্ত চাপ, হতাশা-নিরাশা, আহাজারি ইত্যাদি কারণে এ ধরনের মাথাব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খোলামন নিয়ে চলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি কাজ এরকম মাথাব্যথা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথায় ক্যাফেইন বেশ কার্যকরী। মাথাব্যথা যদি দিনের পর দিন লেগেই থাকে অথবা সেটা যদি সাধারণ মাথাব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরও না কমে তবে আপনার যোগাযোগ করা উচিত মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে। মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে যাওয়া লজ্জার কিছু নয়। আমাদের সমাজে মানসিক রোগীর শরণাপন্ন হওয়াকে কেউ কেউ বাঁকা চোখে দেখে বা উপহাসের চোখে দেখে, যা কিনা একেবারেই ঠিক নয়। মনে রাখা দরকার শারীরিক রোগের মতো মানসিক রোগও একটি রোগ এবং এই রোগেরও রয়েছে আধুনিক চিকিৎসা
কেমিক্যাল মেসেঞ্জার সেরোটনিন বা রাসায়নিক সংবাদ প্রেরক সেরোটনিন যাকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার, এই সেরোটনিন নামক পদার্থ অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে তা মস্তিষ্কের রক্তনালীর ওপর কাজ করে মাথাব্যথার সৃষ্টি করে। মাথাব্যথা হলেই নিজের ইচ্ছামতো যেনতেন ওষুধ খাওয়া আমাদের চিরাচরিত অভ্যাসÑ যা উচিত নয়।
ছোট থেকে শুরু করে বড় বড় মানসিক রোগেও মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনÑ বিষণœতার কথাই ধরি। বিষণœতা এক প্রকার মানসিক রোগ বা ব্রেন ডিজিজ। বিষণœতাজনিত মানসিক রোগে যে মাথাব্যথা হয় তা মাথাব্যথায় ব্যবহƒত সাধারণ ওষুধে ভালো হয় না। বিষণœতায় সৃষ্ট মাথাব্যথার সঙ্গে থাকে একাকিত্ব বা মন শূন্য এবং খালি খালি লাগার অনুভূতি, অনিদ্রা, কাজেকর্মে অবনতি, খাদ্য গ্রহণের প্রতি অনীহা, অরুচি, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, আÍহত্যার ইচ্ছা জাগা, নিজেকে শেষ করার মনোভাবসহ নানারকম উপসর্গ। তবে এ মাথাব্যথা এলেমেলো বা ভোঁতা ধরনের।
বিষণœতাজনিত মাথাব্যথায় প্রায় সময়ই পুরো মাথা ব্যথা থাকে। ভোরবেলা ও বিকেল বেলায় ভালো না লাগার ভাবটা বেশি থাকে, সঙ্গে থাকে দারুণ অস্থির ভাব। বিষণœতা কি মাথাব্যথার সৃষ্টি করে কিংবা মাথাব্যথার জন্য কি বিষণœতা হতে পারে তা একটি বিতর্কিত ও কঠিন বিষয়। বিষণœতার সঙ্গে জড়িত নিউরোট্রান্সমিটার হল সেরোটনিন যা কিনা মাথাব্যথার সঙ্গে জড়িত। বিষণœতাসম্পন্ন রোগীদেরও মাথাব্যথা থাকতে পারে আর সেজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত চিকিৎসা। সঠিক রোগ নির্ণয় ও বিষণœতার সঠিক চিকিৎসা এর সঙ্গে জড়িত মাথাব্যথাকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। বিষণœতার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকলে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষণœতা নিরোধক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়।
আবেগের বিকৃতি বা আবেগজনিত মানসিক সমস্যায় এ মাথাব্যথার উদ্রেক হতে পারে। আবার দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথাও হতে পারে। সাধারণত বিকাল ও সন্ধ্যার সময় বা পরে দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা হতে পারে। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা ধীরে ধীরে তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। মূল উপসর্গগুলো হলÑ মাথার চারপাশে চাপ অনুভূতি, গলা, ঘাড় ও কাঁধের মাংসপেশিতে টানটান ভাব। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার অন্যান্য উপসর্গ হল ঘুমের অসুবিধা, চিন্তাভাবনা করতে অসুবিধা হওয়া, বিরক্তভাব সৃষ্টি হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া। এ ধরনের মাথাব্যথা উজ্জ্বল আলোতে বেড়ে যায়। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, কাজকর্মের মাত্রাতিরিক্ত চাপ, হতাশা-নিরাশা, আহাজারি ইত্যাদি কারণে এ ধরনের মাথাব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খোলামন নিয়ে চলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি কাজ এরকম মাথাব্যথা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথায় ক্যাফেইন বেশ কার্যকরী। মাথাব্যথা যদি দিনের পর দিন লেগেই থাকে অথবা সেটা যদি সাধারণ মাথাব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরও না কমে তবে আপনার যোগাযোগ করা উচিত মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে। মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে যাওয়া লজ্জার কিছু নয়। আমাদের সমাজে মানসিক রোগীর শরণাপন্ন হওয়াকে কেউ কেউ বাঁকা চোখে দেখে বা উপহাসের চোখে দেখে, যা কিনা একেবারেই ঠিক নয়। মনে রাখা দরকার শারীরিক রোগের মতো মানসিক রোগও একটি রোগ এবং এই রোগেরও রয়েছে আধুনিক চিকিৎসা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন