বুধবার, ৮ জুন, ২০১১

আপেলের উপকারিতা

দিনে একটা আপেল খাও, ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না' পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে এমন কথা আমরা অহরহই শুনি। এ কথাই এবার প্রমাণ হয়েছে একটি গবেষণায়। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের খোসায় রয়েছে অরসলিক এসিড যা মানবদেহের পেশির ক্ষয়রোধ করে। রক্তের চর্বির (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায়। নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা। তাই আপেল খেতে হবে খোসাসহ। এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের 
আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. ক্রিস্টোফার অ্যাডামস। এটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সেল মেটাবোলিজম জার্নালে। খবর মেইল অনলাইনের।
গবেষক ক্রিস্টোফার অ্যাডামস জানান, ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যে ইঁদুরকে আপেলের খোসা খেতে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মাংসপেশি শক্তিশালী হয়েছে। শরীরে শক্তি বেড়েছে। মানুষের ক্ষেত্রেও আপেলের খোসার অরসলিক এসিড ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ রাসায়নিক যৌগ মানুষের মাংসপেশির ক্ষয়রোধ করে। রক্তে চর্বি কমায়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ বিজ্ঞানী আরও বলেন, বয়স হলে এবং ডায়াবেটিক রোগীদের মাংসপেশি দ্রুত ক্ষয় পেতে থাকে। এতে মানুষ দুর্বল ও তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আপেল খেলে মানুষের পেশি শক্ত হয়। তারা বেশি বয়সেও হাঁটতে ও কায়িক পরিশ্রমের কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, এ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে আরও জানা গেছে, আপেল মানুষকে হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাত ও মেদবহুলতায় উপকারী হিসেবে কাজ করে। মানুষ ও ইঁদুরের শরীরে খোসাসহ আপেলের উপকারিতার ওপর যুগপৎভাবে এ গবেষণাটি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন