বড়দের যেসব কারণে মাথা ব্যথা হয় প্রায় সব কারণেই শিশুদেরও মাথাব্যথা হতে পারে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি যে সব কারণে মাথাব্যথা হয় তা হলো: শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কুলে ভর্তি করানো
০ শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা।
০ টিনএজ মেয়েদের মধ্যে ইদানীং মাথাম্যথা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। মেয়েটি হয়তো কোনো ছেলেকে পছন্দ করে কিন্তু তা মা-বাবাকে বলতে পারছে না। সামাজিক কষ্ট তার মাথাব্যথার মূল কারণ হতে পারে।
০ খেলাধূলা, টিভি, সমবয়সীদের সাথে মিশতে না দেয়া ও আনন্দদায়ক কাজে বাধা দেয়া।
০ অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে দেখা গেছে, পরীক্ষা এলেই মাথাব্যথা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীর বিশেষ কোনো বিষয়ে হয়তো প্রস্তুতি হয়নি বা বাবা-মায়ের চাওয়া-পাওয়া খুব বেশি অথবা সে বিশেষ কোনো বিষয়ে বেশ দুর্বল।
০ ঘনঘন স্কুল পাল্টানো
০ এছাড়া জ্বর, নাকের, দাঁতের, কানের, গলার সমস্যা আছে কি না খতিয়ে দেখা উচিত।
০ বাবা-মায়ের মধ্যে সারাক্ষণ ঝগড়া। এটা মেয়েটি মোটেই পছন্দ করে না। সে না পারে বাবাকে বলতে না পারে মাকে বলতে। হঠাত্ তার মধ্যে মাথাব্যথা শুরু হয়। তারপর সেই রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেলো তার সেই যন্ত্রণার কাহিনী। এই মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্নতার নামক রোগে ভুগছে। বিষণ্নতা ভালো হলে মাথাব্যথা কমে যেতে পারে।
০ এটা পরিষ্কার যে, মাথাব্যথার কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সমস্যাটি হয় নিজের মধ্যে অথবা নিকট আত্মীয়ের মধ্যে অথবা পারিপার্শ্বিক। হয়তো ছেলে-মেয়েরা মুখ ফোটে বলতে পারে না। এটা তার মধ্যে তীব্র মানসিক অশান্তি তৈরি করে, যা মাথাব্যথা রূপে প্রকাশ পেতে পারে।
০ শিশু-কিশোরদের মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা, টেনশন, মাথাব্যথার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মধ্যে মাথাব্যথা আছে কি না খতিয়ে দেখা উচিত।
০ পরিবারের লোকদের করণীয়: প্রথমেই রোগীকে আশ্বস্ত করা, এটা কোনো মারাত্মক রোগ নয়। এ অবস্থা থেকে মৃত্যুর কোনো ঝুঁকি থাকে না। রোগীদের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিত্সা করলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। রোগীর ব্যক্তিগত ঘটনাগুলো বের করে আনতে হবে নতুবা মাথাব্যথার ওষুধ চলতেই থাকবে, কিন্তু মাথাব্যথা আর কমবে না।
০ চিকিত্সা: রোগীকে কাউন্সিলিং করতে হবে, এটা কী ধরণের রোগ, কেন বেড়ে যেতে পারে? কিভাবে চললে, চিন্তা-চেতনা এবং মনের আবেগ-অনুভূতি পরিবর্তন করলে সুস্থ জীবন যাপন করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন