


মাথায় টাক পড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কত যে ধারণা প্রচলিত তার আর ইয়ত্তা নেই। মানুষ বুড়ো হলে তার মাথায় টাক পড়ে, মাথায় বেশী বুদ্ধি থাকলে টাক পড়ে, টাকা হলে টাক পড়ে, বোকা হলে টাক পড়ে! আরো কত ধারণা। এর কোনটাই যে সঠিক নয় তা আর বলবার দরকার পড়েন। তবে মাথায় টাক দেখা দিলে মুখশ্রী যে খানিকটা ম্লান হয়, তাতে কোন সন্দেহ নেই।টাকের ইংরেজীতে ডাক্তারী নাম হল এলপিশিয়া (alopecia)। দুই ধরণের টাক হতে পারে। এক হল পাকাপাকি চিরকালীন টাক পড়া। আর হল হঠাৎ টাক পড়া অল্প সময়ের জন্য।
বংশানুক্রমিক ধারা, বয়স, পুরুষদের ক্ষেত্রে তার যৌন হরমোন ক্ষরণ (androgen – এন্ড্রোজেন), এই তিনটে হল টাক পড়ার প্রধান কারণ। এটা চিরস্থায়ী। অন্যান্য কারণের মধ্যে চর্মরোগ, আঘাত লাগা, কোন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া, আবার চুলের অপূর্ণ বিকাশ ও হতে পারে।
খুব বেশী জ্বর হলে, টাইফয়েড বা কফ জাতীয় কোন রোগ হলে কিছুদিনের জন্য টাক দেখা দিতে পারে। শারীরিক দুর্বলতার জন্যও টাক হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অষুধপত্র, ভাল পথ্য সাধারণ টাক সারিয়ে তুলতে পারে। এক্স-রে এর অসতর্ক ব্যবহার, কোন গুরুতর নেশাভাং করা বা বিষাক্ত ধাতুর পেটে যাওয়াতে অল্পকালের জন্য টাক দেখা দেয়া অসম্ভব নয়।
সঠিক খাওয়া-দাওয়া করলে, চুলের কিছুটা যত্ন নিলে টাক বাগ মানতে পারে। তবে মজার ব্যাপার হল, টাক মেরামত করার মত কোন ওষুধ আজও আবিষ্কার করা যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন