
খাওয়া যাবে কি যাবে না। খাওয়া গেলে সপ্তাহে কয়টি বা কী ভাবে? ইত্যাকার প্রশ্ন এখন সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনবরত। সম্প্রতি ডিম বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে দীর্ঘ এক বছর গবেষণা করেছেন। তারা বলছেন, ডিম নিয়ে আগে নিষেধের যে তর্জনী তোলা হয়েছিল তার পেছনে ন্যায্যতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট ফাউন্ডেশন বলছে, সপ্তাতে ৬টি ডিম অবলীলায় খাওয়া যাবে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ডিম বিশেষজ্ঞ ডা. ডন ম্যাকনামারা বলছেন, খাবারে যে কলেস্টেরল থাকে তা হৃদরোগে কোনো প্রভাব ফেলে না। হৃদরোগের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে পরিনিষিক্ত চর্বি (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) এফ ট্রান্স ফ্যাট। ডা. ম্যাকনামারা পুষ্টিবিষয়ক বায়োকেমিস্ট। তিনি বলেন, ডিমে উন্নতমানের প্রোটিনসহ সব ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। ডিমে শুধু ভিটামিন 'সি' পাওয়া যায় না, সকালের নাস্তায় ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায় এবং দুপুরের খাবার পরিমিত খেলেও চলে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকায় ডিম অপরিহার্য। যাদের দেহে কলেস্টেরলের স্তর স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে তাদের সাত দিনে অন্তত ছয়টি ডিম খাওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের হেরাল্ড সান পত্রিকা ডা. ম্যাকনামারাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, গত ৪০ বছর ধরে ডিমের কলেস্টেরল নিয়ে জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা ভীতির মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু ডা. ম্যাকনামারা বলছেন, ডিমে কম পরিমাণে পরিনিষিক্ত চর্বি রয়েছে। গর্ভধারণকালে নারীদের গর্ভজাত শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে এবং খাদ্য পরিপাকের জন্য ডিমে কোলিন নামে যে যৌগপদার্থ রয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ডিমে লুটেইন রয়েছে, যা চোখের ছানি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট ফাউন্ডেশন তাই এখন জোরেশোরেই ডিম খাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন