রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

মানুষিক রোগীকে ‘পাগল’ না বলাই শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা



মানুষিক কোনো রোগীকে ‘পাগল’ না বলাই হতে পারে তার জন্য শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা। মানুষিক রোগীদের প্রতি অবহেলা বা তাচ্ছিল্য না করে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা, সঠিক চিকিৎসা প্রদান এবং পারিবারিক সহায়তার মাধ্যমে সুস্থ্য করা সম্ভব।


বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘মানসিক রোগীদের প্রতি মনোভাব ও আচরণ’ শীর্ষক কর্মশালার কার্যকরী সেশনে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ’র সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা এ কর্মশালার আয়োজন করে।

ডা. হেলাল উদ্দিন আরো জানান, বাংলাদেশে মানুষিক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে মানুষিক স্বাস্থ্য সেবায় ১৮৯ জন সাইকোলজিস্ট ও ১০ জন সাইকো থেরাপিস্ট রয়েছেন।  এছাড়া ৭০০ জন সাধারণ চিকিৎসককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগে একমাত্র খুলনা মেজিকেল কলেজ হাসপাতালে এ চিকিৎসা সেবার সুযোগ রয়েছে। সারদেশে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে মানুষিক রোগীদের চিকিৎসার জন্য মাত্র ৮২৮টি শয্যা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, দেশের জনসংখ্যার ১৬ দশমিক একভাগ লোক কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগী। এর মধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের হার ১৮ দশমিক চার শতাংশ।

সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও এই কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর ডা. দীন মোহাম্মদ। সিভিল সার্জন ডা. মো. গোলাম মোর্ত্তুজা শিকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এবং খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. গৌর প্রিয় মজুমদার।

কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অংশ নেন। 


নেট থেকে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন