
আরথ্রাইটিস বা গ্রন্থিবাত এমন একটা অসুখ যা রোগীকে ভোগায় সারা জীবন। সময় থাকতে চিকিৎসা না করালে তা সারার সম্ভাবনাও থাকে না। একটা বয়সের পর ওষুধের মাধ্যমে গ্রন্থিবাত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বটে, তবে এটা পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়। তবে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে গ্রন্থিবাতের অসহ্য ব্যথাকে বশে রাখা যায় সহজেই! জেনে নিন গ্রন্থিবাত নিয়ন্ত্রণের সাতটি উপায় -
১. ওজন নিয়ন্ত্রণ :
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যাদের ওজন অতিরিক্ত তারা
সঠিক পরিমাণে খাদ্যগ্রহণ ও ওজন হ্রাসের মাধ্যমে নিজেদের মেরুদণ্ড, হাঁটু, কোমর, গোড়ালি এবং পায়ের গ্রন্থিবাতজনিত ব্যথার উপশম করতে পারেন।
২. ব্যায়াম :
গ্রন্থিবাতে আক্রান্ত ব্যক্তির বেলায় ভুল নড়াচড়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনি সঠিক নড়াচড়া ব্যথার উপশম ঘটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যোগব্যায়াম গ্রন্থিবাতের জন্য উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যোগব্যায়াম মানুষকে সঠিক উপায়ে অঙ্গসঞ্চালনে অভ্যস্ত করে।
৩. প্রতিদিন পরিমিত কাজ :
এটা পরীক্ষিত সত্য যে, ব্যথা নিয়ে দুশ্চিন্তা করলে তা আরো বেড়ে যায়! এছাড়া সেই সাথে তাড়াহুড়া করলে কাজের মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রন্থিবাতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময় মনে রাখতে হবে, শরীর ভালো লাগলেই একদিনে তাড়াহুড়া করে একগাদা কাজ করা ঠিক নয়। কারণ এর ধকল সইতে হতে পারে পরবর্তী দিনগুলোতে। তারচেয়ে নিয়ম মেনে প্রতিদিন পরিমিত কাজ করাই ভালো।
৪. সময়মতো ওষুধ :
লক্ষ্য করে দেখা যায় যে, গ্রন্থিবাতে আক্রান্তদের বেশিরভাগদেরই হাত, গলা, কাঁধ, পিঠ এবং হাঁটুতে যন্ত্রণা বেশি হয় সকালের দিকে। তাদের জন্য পরামর্শ হলো-রাতে ঘুমানোর আগে ব্যথার জায়গায় অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বা এনালজেসিক মলম লাগান। এর ফলে সকালে ঘুম ভাঙবে ব্যথাহীন ভাবে।
৫. পানিতে ব্যায়াম :
সাধারণ ব্যায়ামের চেয়ে গলা পানিতে দাঁড়িয়ে অঙ্গসঞ্চালনের মাধ্যমে ব্যায়াম গ্রন্থিবাতের জন্য বেশি উপকারী। তাই চেষ্টা করুন পানিতে ব্যায়াম করতে।
৬. বরফ ব্যবহার :
গ্রন্থিবাতের অসহনীয় ব্যথা তাৎক্ষণিকভাবে কমাতে বরফ বেশ কার্যকরী। প্লাস্টিকের ব্যাগ, গামছা বা তোয়ালেতে বরফ নিয়ে ব্যথার স্থানে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৭. গরম সেঁক :
মাংসপেশী যখন শক্ত হয়ে টনটনে ব্যথার অনুভূতি ছড়ায় তখন গরম সেঁক তা উপশমে সহায়তা করে। গ্রন্থিবাতের ব্যথায় গরম পানি ভর্তি ব্যাগ বা গরম কাপড়ের সেঁক ব্যথার স্থানে স্বস্তি দেয়।
নেট থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন