শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০১০
ল্যাথাইরিজম রোগ এবং এর প্রতিকার
আমাদের খাদ্য তালিকায় ডাল একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ডালে আছে বেশ পরিমান শরকরা , তেল, ভাইটামিন, এবং খনিজ পদারথ। আর আমিষের পরিমানে মাংস এবং মাছ এর সাথে ডাল তুলনীয় বলে ডালকে "গরিবের মাংস" বলা হয়ে থাকে।সব ডাল উৎপাদনকারী উদ্ভিদ Fabaceae পরিবারের Papilionaceae উপ-পরিবারের আন্তগত। এসব উদ্ভিদ এর মুলে নাইট্রজেন স্তিতিকারক নডিউল ব্যাক্টেরিয়ার সমাবেশ ঘটে এবং নডিউল তৈরীর মাধ্যমে বায়ুমন্ডলের নাইট্রজেন সংবন্ধন করে।যার কারনে জমের মাটি উরবর হয়।ডালের শুধুমাত্র উপকারী দিক নাই কিছু অপকারী দিকও আছে। আমরা খেসারী নামে যে ডাল খাই তার বৈঘানিক নাম Lathyrus sativus. এই ডাল এ BOAA নামক এক প্রকার এমিনো এসিড তৈরী হয়। এই এমিনো এসিড "ল্যথাইরিজম" নামক পায়ের প্যারালাইসিসের জন্য দায়ী।অধিকদিন এই ডাল খেলে এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু আমরা যদি খেসারী ডালকে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানিকে ফেলে দিয়ে ডাল গুলো রান্না করি তবে আর "ল্যথাইরিজম" রোগ হবার সম্ভাবনা থাকবে না।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন