শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১

ফোঁড়া,লোমফোঁড়া

ত্বকে, লোমকূপে স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ফোঁড়া, লোমফোঁড়া ইত্যাদি হয়। ফোঁড়া বা অ্যাবসেস শুরু হয় ত্বকে ছোট উদ্বেদ আকারে। ধীরে ধীরে আকারে বড় হয়, লাল হয় ও পুঁজ জমে, অনেক সময় ফোঁড়ার আশপাশের বেশ খানিকটা অংশও লাল হয়ে যায়। বলাবাহুল্য ফোঁড়া খুব বেদনাদায়ক, প্রচণ্ড টাটানো ব্যথা থাকে।
লোমফোঁড়া হয় বিশেষ করে নাকে, কানে প্রভৃতি স্থানে, যেখানে প্রচুর লোম আছে এবং যেখানে বেশ খোঁটাখুঁটি করা হয়। এসব স্থানে স্ট্যাফাইলোকক্কাসের স্বাভাবিক বসতি। কিন্তু খোঁটাখুঁটির ফলে ত্বক অনাবৃত হয়ে পড়লে এসব স্ট্যাফাইলোকক্বাস-ই সংক্রমণ ঘটিয়ে লোমে ফোঁড়ার জš§ দেয়। ফোঁড়া কিংবা লোমফোঁড়ার সঙ্গে রোগীর জ্বর থাকতে পারে।
চিকিৎসা : ফোঁড়ার চিকিৎসায় রোগীর কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফোঁড়া নিজ থেকে পেকে ফেটে পুঁজ বেরিয়ে যায় এবং ফোঁড়া সেরে যায়। উচিত হবে প্রথম অবস্থায় এবং ফোঁড়া পুরোপুরি পাকার আগে দিনে কয়েকবার গরম স্যাঁক দেয়া। যে কোন ফোঁড়া বা অ্যাবসেসের প্রধান চিকিৎসা পুঁজ বের করে দেয়া। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, উনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকও খেতে হবে। ছোট ফোঁড়া সাধারণত আপনা আপনিই সেরে যায়। লোম ফোঁড়ার চিকিৎসাও অনুরূপ। তবে এগুলো ছোট বলে অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষ করে নাকের লোমফোঁড়া; এগুলোর অবহেলায় নানা মারাÍক সমস্যা ঘটতে পারে।

২টি মন্তব্য: