মূল বক্তব্যঃ
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানীর বিষয়টি নিয়ে যখন তুলপাড় চলছে । চলছে তা প্রতিরোধের নীতি মালা প্রনয়নের কাজ। তখন সরকার নিয়ন্ত্রানাধীন মিরপুরে বিসিএইসি কলজের ছাত্রীরা পড়াশুনা করছে এক বিভ্রতকর পরিস্থীতিতে। তাদের অভিযোগ শিক্ষকরাই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নানা ভাবে ছাত্রীদের উত্তপ্ত করছেন। এইডস কি? কিভাবে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এইডস ছড়ায়, বার বার একই প্রশ্ন করেন। ছাত্রীরা অভিযোগ করেন যে, তাদের পাঠ্যপুস্তকে এই বিষেয় একটি অধ্যায় আছে । আর এই একটি অধ্যায়ই এক মাস যাবৎ পড়াচ্ছেন এবং পড়ানোর সময় অঙ্গ-ভঙ্গীর মাধ্যমে ছাত্রীদের অশুভ আচরন প্রকাশ করেন। ক্যম্পাসে এই বিষয়ে মুখ খুলতে না পাড়লেও, তারা মুখ খুলেছেন মিডিয়া এবং পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকদের সামনে। তুলে ধরেন আসল চেহারা। এতে করে যে ছাত্রীরা প্রতিবাদ করেছিল তাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন-বিসিএইসি কলেজের অধ্যাক্ষ। এই বিষয়ে তদন্তের জন্য ৫-সদস্য এর কমিটি গঠন করা হলেও, একই স্কুলের শিক্ষক ঐ কমিটিতে থাকায় আসল চিত্র বেরিয়ে আসনি। উল্টা ছাত্রীদের কে হুমকি দেয়া হয়েছে, এমকি তাদরে পারিবারকেও। এই প্রতিবাদে কর্মসূচী পালন করা হলও কোন ফল পায়নি প্রতিবাদী ছাত্রীরা ।
এই তো গেল সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মিরপুর বিসিআইসি কলেজর কথা কিন্তু এই রকম প্রতিবাদ না করে হাজার হাজার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মুখবুঝে সহ্য করে নেন সব কিছুই। প্রতিবাদের ভাষা থাকলেও তা ঢেকে যায় মান-অপমানের চিন্তা-চেতনা ভিতর। আর যারা প্রতিবাদ করে তাদের জীবনের গতি পথ থেমে যায় এখানেই। তারা হয়ে যা সমাজের ঘৃণার পাত্র।
কিন্তু আমরা এমনটা চাইনি যে, এইডস কি? এইডস কিভাবে ছড়ায়? এটা বুঝাতে গিয়ে-নানা ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, তাদের জীবন কে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে না নিয়ে যাই। তাদের কাছে এইডস কি? তা বন্ধু সুলভ আচরণের মাধ্যমে বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করি।
আজ থেকে আমরা সবাই তাদের কে ঘৃণা করি যা এইডস কি? তাকে পুঁজি করে নানা ভাবে যৌন আচরণ-এ লিপ্ত হয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিবাদের জন্য এগিয়ে আসি। তাদের হাত থেকে সমাজ এবং দেশে মানুষ কে রক্ষা করি। এইডস কি? তা সঠিক চিত্র প্রচারের মাধ্যমে, এইডস এর হাত থেকে প্রতিটি মানুষ, দেশ এবং পৃথিবীর মানুষ কে রক্ষা করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন