
৭-১৪ দিনের মধ্যে ফিস্টুলা দেখা যায়। আমাদের দেশে ফিস্টুলাজনিত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে হলেও ৭০ হাজার। ফিস্টুলার জন্য একজন মেয়েকে অনেক কষ্ট সইতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের সবাই তাকে ত্যাগ করে।
বাধাপ্রাপ্ত প্রসবের জন্য মূত্রনালি এবং মাসিকের রাস্তায় এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়ে দুটি রাস্তা এক হয়ে যায় এবং অনবরত ওই রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে থাকে। এ ধরনের দুর্বিষহ শারীরিক সমস্যাকে প্রসবজনিত ফিস্টুলা বলা হয়।
কারণ মূলত অবস্ট্রাকটেড লেবার বাধাপ্রাপ্ত প্রসবের জন্যই এটা হয়। সাধারণত ডেলিভারির ৭-১৪ দিনের মধ্যে ফিস্টুলা দেখা যায়। আমাদের দেশে ফিস্টুলাজনিত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে হলেও ৭০ হাজার। ফিস্টুলার জন্য একজন মেয়েকে অনেক কষ্ট সইতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের সবাই তাকে ত্যাগ করে। স্বামীর সঙ্গে এমনকি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ অসুখে নিয়ে রোগগ্রস্ত মেয়েরা অন্য কোথায়ও কাজ করতে পারে না। গর্ভস্থ শিশুটিও বাধাপ্রাপ্ত প্রসবের জন্য মারা যায়। আর এভাবে একজন মা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন এবং তার জীবন একাকিত্ব আর বঞ্চনার মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে।
এ ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। শুধু বাধাপ্রাপ্ত প্রসবকে আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। সময়মতো অস্ত্রোপচার করে এবং প্রস্রাবের রাস্তায় কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ প্রস্রাবের নল রেখে দিয়ে এ ক্ষেত্রে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
যারা খর্বাকৃতির সাধারণত যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয় এবং যাদের প্রসবের রাস্তা চাপা থাকে তারাই অধিকহারে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
যেভাবে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব_
১. দেরিতে বাচ্চা নেওয়া। কমপক্ষে ২০ বছর বয়সে বাচ্চা নেওয়া।
২. যাদের উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি বা তার নিচে এবং যাদের প্রসবের রাস্তা চাপা থাকে তাদের অবশ্যই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডেলিভারি করতে হবে।
ফিস্টুলার চিকিৎসা
একজন রোগী কাছাকাছি যে কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ রোগের চিকিৎসা পেতে পারেন ।
* মনে রাখবেন, ফিস্টুলা একটা মারাত্মক সমস্যা এবং প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
* নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও সচেতন করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন