
হৃদরোগ প্রতিরোধে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা উচিত
শরীরে যাদের চর্বি আছে বলে মনে হয় না, তাদেরও শরীরের ভেতরে নানা অঙ্গে চর্বি ঠিকই আছে। শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোর চর্বি কমাতে তাদেরও হাঁটা প্রয়োজন
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হার্টের সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে নিচের সাতটি বিষয়ের ওপর।
* খাদ্যাভ্যাস
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হার্টের সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে নিচের সাতটি বিষয়ের ওপর।
* খাদ্যাভ্যাস
* শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম
* শরীরের ওজন এবং চর্বি
* রক্তচাপের মাত্রা
* পেট খালি থাকা অবস্থায় রক্তে গ্গ্নুকোজের মাত্রা
* রক্তে চর্বির মাত্রা এবং
* ধূমপান।
খাদ্যাভ্যাস গড়ূন হৃদবান্ধব : খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর হৃদবান্ধব। চাই প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল। খাদ্য তালিকার মোট সবজি ও ফলমূলের তিন ভাগের এক ভাগ কাঁচা খেতে পারলে বেশি ভালো। খাবারের মেন্যুতে তেল-চর্বি হতে হবে কম। তবে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকতে হবে খাবারে। মাছের তেলে আছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড। চিনি, মিষ্টি_ এসব খেতে হবে কম।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত : শারীরিক ব্যায়াম জরুরি অবশ্যই। হাঁটতে হবে দৈনিক ৩০ মিনিট ধরে। এক সঙ্গে সম্ভব না হলে ১০ মিনিট করে তিনবার সকালে, দুপুরে ও রাতে। যাদের শরীর মোটা নয়, শরীরে যাদের চর্বি আছে বলে মনে হয় না। তাদেরও শরীরে ভেতরের নানা অঙ্গে চর্বি ঠিকই আছে। শরীরে ভেতরের অঙ্গগুলোর চর্বি কমাতে তাদেরও হাঁটা প্রয়োজন।
সঠিক রাখুন শরীরের ওজন ও চর্বি : শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং চর্বি হৃদরোগ ঘটাতে সহায়ক। শরীরের ওজন আর উচ্চতা অনুপাতকে বডিমাস ইনডেক্স, সংক্ষেপে 'বিএমআই' দিয়ে প্রকাশ করা হয়। 'বিএমআই' ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ হলে তা স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০ হলে বোঝা যাবে শরীরের ওজন বেশ বেশি। 'বিএমআই' ৩০-এর বেশি হওয়া মোটেও ভালো নয়। 'বিএমআই' দিয়ে অবশ্য শরীরের চর্বির মাত্রার সঠিক নির্দেশ হয় না। এ জন্য কোমরের বেড় মেপে দেখাই উত্তম। বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের বেড় ৩৬ ইঞ্চি আর মহিলার ক্ষেত্রে ৩১ ইঞ্চির বেশি হওয়া হৃদবান্ধন নায়। বেশি 'বিএমআই' বা বেশি কোমরের বেড়_ দু'ক্ষেত্রেই কম ক্যালরির খাবার আর ব্যায়াম খুবই জরুরি। এতে শরীরের চর্বি কমবে, 'বিএমআই' সঠিক হবে।
গ্রহণযোগ্য রাখুন রক্তচাপের মাত্রা : অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা চাই রক্তচাপ। রক্তচাপকে রাখতে হবে ১২০-৮০-এর আশপাশে। প্রয়োজন লাইফস্টাইলে পরিবর্তন।
খালি পেটে রক্তের গ্গ্নুকোজের মাত্রা রাখুন সঠিক : খালি পেটে প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে গ্গ্নুকোজের মাত্রা থাকতে হবে ১০০ মিলিগ্রামের নিচে। এর জন্য করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম। চিনি, মিষ্টি খেতে হবে কম।
সঠিক রাখুন রক্তের চর্বির মাত্রা : প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকতে হবে ২০০ মিলিগ্রামের নিচে। পাশাপাশি এইচডিএল/ কোলেস্টেরল অনুপাত এবং এইচডিএল/ট্রাইগ্গি্নসারাইড অনুপাত নিয়েও ভাবতে হবে। এইচডিএল/কোলেস্টেরল অনুপাত ২৪ শতাংশের বেশি হলে তা হার্টের জন্য ভালো। ১০ শতাংশের কম হলে তা হৃৎপিণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনুরূপভাবে এইচডিএল/ট্রাইগ্গি্নসারাইড অনুপাত ২ শতাংশের কম হলে তা হৃদবান্ধব। কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া আর নিয়মিত ব্যায়াম_ রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক থাকবে।
বর্জন করুন ধূমপান : ধূমপান কোনোমতেই হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো নয়। এ বদঅভ্যাসের জন্য হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হৃদরোগ হওয়ার কমাতে চাইলে ধূমপান বর্জন করতে হবে।
খাদ্যাভ্যাস গড়ূন হৃদবান্ধব : খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর হৃদবান্ধব। চাই প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল। খাদ্য তালিকার মোট সবজি ও ফলমূলের তিন ভাগের এক ভাগ কাঁচা খেতে পারলে বেশি ভালো। খাবারের মেন্যুতে তেল-চর্বি হতে হবে কম। তবে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকতে হবে খাবারে। মাছের তেলে আছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড। চিনি, মিষ্টি_ এসব খেতে হবে কম।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত : শারীরিক ব্যায়াম জরুরি অবশ্যই। হাঁটতে হবে দৈনিক ৩০ মিনিট ধরে। এক সঙ্গে সম্ভব না হলে ১০ মিনিট করে তিনবার সকালে, দুপুরে ও রাতে। যাদের শরীর মোটা নয়, শরীরে যাদের চর্বি আছে বলে মনে হয় না। তাদেরও শরীরে ভেতরের নানা অঙ্গে চর্বি ঠিকই আছে। শরীরে ভেতরের অঙ্গগুলোর চর্বি কমাতে তাদেরও হাঁটা প্রয়োজন।
সঠিক রাখুন শরীরের ওজন ও চর্বি : শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং চর্বি হৃদরোগ ঘটাতে সহায়ক। শরীরের ওজন আর উচ্চতা অনুপাতকে বডিমাস ইনডেক্স, সংক্ষেপে 'বিএমআই' দিয়ে প্রকাশ করা হয়। 'বিএমআই' ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ হলে তা স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০ হলে বোঝা যাবে শরীরের ওজন বেশ বেশি। 'বিএমআই' ৩০-এর বেশি হওয়া মোটেও ভালো নয়। 'বিএমআই' দিয়ে অবশ্য শরীরের চর্বির মাত্রার সঠিক নির্দেশ হয় না। এ জন্য কোমরের বেড় মেপে দেখাই উত্তম। বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের বেড় ৩৬ ইঞ্চি আর মহিলার ক্ষেত্রে ৩১ ইঞ্চির বেশি হওয়া হৃদবান্ধন নায়। বেশি 'বিএমআই' বা বেশি কোমরের বেড়_ দু'ক্ষেত্রেই কম ক্যালরির খাবার আর ব্যায়াম খুবই জরুরি। এতে শরীরের চর্বি কমবে, 'বিএমআই' সঠিক হবে।
গ্রহণযোগ্য রাখুন রক্তচাপের মাত্রা : অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা চাই রক্তচাপ। রক্তচাপকে রাখতে হবে ১২০-৮০-এর আশপাশে। প্রয়োজন লাইফস্টাইলে পরিবর্তন।
খালি পেটে রক্তের গ্গ্নুকোজের মাত্রা রাখুন সঠিক : খালি পেটে প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে গ্গ্নুকোজের মাত্রা থাকতে হবে ১০০ মিলিগ্রামের নিচে। এর জন্য করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম। চিনি, মিষ্টি খেতে হবে কম।
সঠিক রাখুন রক্তের চর্বির মাত্রা : প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকতে হবে ২০০ মিলিগ্রামের নিচে। পাশাপাশি এইচডিএল/ কোলেস্টেরল অনুপাত এবং এইচডিএল/ট্রাইগ্গি্নসারাইড অনুপাত নিয়েও ভাবতে হবে। এইচডিএল/কোলেস্টেরল অনুপাত ২৪ শতাংশের বেশি হলে তা হার্টের জন্য ভালো। ১০ শতাংশের কম হলে তা হৃৎপিণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনুরূপভাবে এইচডিএল/ট্রাইগ্গি্নসারাইড অনুপাত ২ শতাংশের কম হলে তা হৃদবান্ধব। কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া আর নিয়মিত ব্যায়াম_ রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক থাকবে।
বর্জন করুন ধূমপান : ধূমপান কোনোমতেই হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো নয়। এ বদঅভ্যাসের জন্য হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হৃদরোগ হওয়ার কমাতে চাইলে ধূমপান বর্জন করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন