শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১১

কব্জির ব্যথার চিকিৎসা

কব্জিতে ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। আঘাত পাওয়া, দীর্ঘক্ষণ কব্জির মাধ্যমে কোনো কাজ করা, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, এসএলই, গাউট ও অন্যান্য বাতজাতীয় রোগ। এসব রোগে কব্জিতে ব্যথা ছাড়াও অন্য জোড়ায়ও ব্যথা হতে পারে। বাতজাতীয় রোগে হাতের কবজিতে ব্যথা হলে তা সাধারণত বিশ্রাম নিলে ও সকালে বেড়ে যায়, কাজ করলে কিছুটা কমে আসে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বাত রোগটি নির্ণয় করা জরুরি এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করা দরকার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কব্জিতে ব্যথা হলে তা সাধারণত বিশ্রাম নিলে কমে যায়, কাজ করলে বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রেই কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালের অথর্োপেডিক্স বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. নজরুল ইসলামের মতে এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।
প্রথম আক্রান্ত হাতের কব্জিকে বিশ্রামে রাখতে হবে। যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে কব্জিতে ব্যথা হয়ে থাকে, তবে তার উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ যেমন_ প্যারাসিটামল বা এনএসএআইডি দেওয়া দেওয়া যেতে পারে। এনএসএআইডি ট্যাবলেট হিসেবে মুখে খাওয়া ছাড়াও এনএসএআইডি জেল আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই জেল দিয়ে মালিশ করা যাবে না। ফিজিওথেরাপি হিসেবে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি বা ফোনোফনোসিস ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। অল্প গরম পানিতে হাতের কব্জি ডুবিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে নাড়াচড়া করালেও আরাম পেতে পারেন। আক্রান্ত কব্জির সাহায্যে কাপড় ধোয়া বা মোচড়ানো, হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা, টেনিস খেলা ইত্যাদি কাজ, অর্থাৎ যে কাজ করতে হলে হাতের কব্জিকে বারবার ঘোরাতে হয়, সে ধরনের কাজ করা যাবে না। আক্রান্ত কব্জিকে নাড়াচাড়া করা থেকে কিছুটা রক্ষা করার জন্য রিস্ট ব্যান্ড বা ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন