![]() পোশাকের মাধ্যমে আমাদের পুরো শরীরই ঢেকে রাখি, কেবল মুখটাই খোলা থাকে। তাই মুখের যত্ন নেয়াটা বেশি জরুরি। কেননা পুরো শরীরের মধ্যে মুখটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাজারে ত্বকের জন্য ব্যবহৃত যেসব কেমিক্যাল প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের পর ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক উপায়ে অর্থাত্ হারবাল পদ্ধতিতে ত্বকের যত্নের কোনো বিকল্প নেই। কেননা হারবাল পদ্ধতিতে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয় সেসব ত্বককে ভালো রাখে। ত্বক রাখে উজ্জ্বল, মসৃণ ও প্রাণবন্ত। হারবাল পদ্ধতিতে রূপচর্চার প্রথম কথা হলো—শরীরের ভেতর এবং বাইর উভয়ের যত্ন নিতে হবে। অর্থাত্ আপনার খাদ্যাভ্যাসও এর মধ্যে পড়ে। শুধু ত্বকে বা মুখে কিছু ব্যবহার করলেই নয়, সেই সঙ্গে আপনার খাদ্যাভ্যাসেও কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে, বললেন রূপবিশেষজ্ঞ হাসিনা মমতাজ— আজকাল বেশিরভাগ মেয়েকেই বিভিন্ন কাজে বাইরে যেতে হয়, তার ফলে ত্বকে দেখা দেয় সানবার্ন অর্থাত্ রোদের তাপে ত্বকটা পুড়ে যায়। তাই বাইরে থেকে এসে মুখটা পরিষ্কার করতে ১ টেবিল চামচ তিল, ১ চা-চামচ পুদিনা পাতা, ১ চা-চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মুখমণ্ডলে লাগাতে হবে। এ মিশ্রণটি মুখে একটানা ২ সপ্তাহ লাগালে সানবার্ন চলে যাবে। এছাড়া সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। মৌসুমি ফল এবং রসাল ফল খেতে হবে। স্ট্রেস কম নিতে হবে এবং ভালোমতো ঘুমাতে হবে, তাহলেই আপনার ত্বক থাকবে সানবার্নমুক্ত। সবচেয়ে জরুরি বিষয় যেটি সেটি হলো— সরাসরি রোদে যাওয়া চলবে না, সেক্ষেত্রে আপনি ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। রোমকূপের গোড়া যেন পরিষ্কার থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা রোমকূপে ডেডসেল জমে রোমকূপের মুখটা বন্ধ করে ফেলে আর তখনই দেখা দেয় ব্রণ ও পিম্পলসসহ নানা সমস্যা। সঠিক পদ্ধতিতে আমরা যদি বিউটিফিকেশন না করি তাহলে ভালোর চেয়ে খারাপই হয় বেশি। সেক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের ধরনটা আগে বুঝে নিতে হবে। সাধারণত চার ধরনের ত্বক হয়—ড্রাই, অয়েলি, নর্মাল ও কম্বিনেশন। ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন করাটা জরুরি। তাহলেই ত্বক থাকবে ভালো। ত্বক অনুযায়ী প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। সেটি ময়েশ্চারাইজারই হোক কিংবা ক্রিমই হোক। ত্বক ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি ধাপ মেনে চলা খুবই জরুরি। ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং এবং প্রোটেকশন। দিনে ২-৩ বার পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে মেকআপ তুলতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ক্লিনজার মেখে ভালোমত পরিষ্কার করতে হবে। রাতেও যদি মেকআপ করতে হয় সেক্ষেত্রেও বাড়ি ফিরে একইভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর আসে ময়েশ্চারাইজিং। ময়েশ্চারাইজিং করাটা ত্বকের জন্য খুবই জরুরি। ক্লিনজিং করার পর মুখটা জ্বালাপোড়া করে, টানে। তাই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরি। তবে অবশ্যই ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। ত্বকের তৈলাক্ততা ও শুষ্কতার ওপর নির্ভর করে ময়েশ্চারাইজার ক্রয় করতে হবে। ত্বক সুরক্ষিত রাখা মানেই সূর্যের তাপ, বাতাসের আর্দ্রতা, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা, দূষিত বাতাস থেকে ত্বককে নিরাপদ রাখা। বর্তমানে ঘর থেকে বের হতে হলে এ সমস্যাগুলোর মধ্যে কমবেশি সবাইকে পড়তে হয়। বাইরে বের হওয়ার আগে সান প্রোটেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সান প্রোটেকশন ব্যবহার না করাই ভালো। অনেক সময় এসব ব্যবহারে হিতেবিপরীত হয়ে যায়। তবে স্কিন বুঝে সান প্রোটেকশন ব্যবহার করা ভালো, তাতে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। বাইরে বের হলে ছাতা এবং সানগ্লাস অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক এবং চোখ দুটোই ভালো থাকবে। |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন