শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১১

দাঁতের যত্নে করনীয়

অনাবিল সুন্দর হাসির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দাঁত। শুধু কি সৌন্দর্য, মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও দাঁতের যত্ন নেওয়া জরুরি। শুধু দু'বেলা দাঁত মাজলেই তো দাঁতের যত্ন শেষ হয়ে যায় না, জানতে হবে আরও কিছু।
কোমল পানীয় কোমল নয় : কোমল পানীয় দাঁতের দাগ ফেলে সৌন্দর্য নষ্ট করে। দাঁতকে সুরক্ষা দেয় যে এনামেল তারও ব্যাপক ক্ষতি করে। কোমল পানীয় খেলে তাই মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আর সুযোগ থাকলে করে ফেলুন ব্রাশ।
আপেল আর গাজরের যত গুণ : আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথ ব্রাশ। খাবারের শেষে দাঁত ব্রাশ সম্ভব না হলে বিকল্প হিসেবে আপেল খেতে পারেন। আপেলের মতো গাজরের আছে দাঁত পরিষ্কারের প্রাকৃতিক ক্ষমতা। এগুলো খাবার অভ্যাস গড়ূন। দাঁত যেমন পরিষ্কার থাকবে, পুষ্টি চাহিদাও মিটবে।
সবুজ চায়ের আসল তৃপ্তি : সবুজ চায়ে থাকে পলিফেনল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। উপাদান দুটি দাঁতের গায়ে প্লাক জমতে বাধা দেয়। ফলে দাঁত বেঁচে যায় সব অনাবশ্যক ক্ষতি থেকে।
সাঁতারুদের যত বিপদ : সুইমিংপুলের ক্লোরিন দাঁতে অনাবশ্যক দাগ যেমন ফেলে, দাঁত ক্ষয়েও ওস্তাদ ক্লোরিন। নিয়মিত সাঁতারুদের তাই সাঁতার শেষ করেই করতে হবে দাঁত ব্রাশ। আর পুলের জল মুখে না নেওয়ারও অভ্যাস করতে হবে।
স্ট্র ব্যবহার করুন নিয়মিত : কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক কিংবা জুস। এগুলোতে থাকে সাইট্রিক আর ফসফরিক এসিডের মিশেল। এগুলো দ্রুত ক্ষয় করে দাঁতের এনামেল। মুখরোচক পানীয় গ্রহণের সময় ব্যবহার করুন স্ট্র।
কমলার রসে যত গুণ : ভিটামিন 'সি'-এ সমৃদ্ধ কমলা। তৃষ্ণা মেটাতে বেছে নিন ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলগুলো। ভালো থাকবে মাড়ি এবং সুস্থ থাকবে দাঁত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন