প্রতিমাসে একবার নিজে থেকে মিনিট কয়েকের মধ্যে করে ফেলা ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শতকরা ৭০% ক্ষেত্রে নিজ থেকে পরীক্ষাতেই ব্রেস্ট ক্যানসার ধরে ফেলা সম্ভব। যারা আগে ধরে ফেলতে পারেন তাদের শতকরা ৯৮% আরোগ্য লাভ করতে পারেন। ব্রেস্ট পরীক্ষার সময় কোনো লাম্প বা শক্ত মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়লে অতি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
তবে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এই মাংসপিণ্ড ক্ষতিকর কিছু নয়। তাছাড়া মনে সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকলেও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
ব্রেস্ট ক্যানসার শুধু মাত্র নারীদের হতে পারে মনে করেন অনেকে। কিন্তু দেখা গেছে ১০% ব্রেস্ট ক্যানসার আক্রান্ত থাকেন পুরুষ। সমস্যা হচ্ছে এই পুরুষেরা ব্রেস্ট ক্যানসারের শেষ অবস্থায় এর চিকিৎসা করাতে যান এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আর কিছু করার থাকে না।
নিজে থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা
ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষার ধাপ তিনটি। দাঁড়িয়ে অনুভব, দাঁড়িয়ে আয়নায় দেখে, শুয়ে অনুভব। প্রতিমাসে পিরিয়ডের ৭ থেকে ১০ দিন পরে পরীক্ষাটি করা ভালো। এ সময় ব্রেস্টে লাম্পের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম।
ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষার ধাপ তিনটি। দাঁড়িয়ে অনুভব, দাঁড়িয়ে আয়নায় দেখে, শুয়ে অনুভব। প্রতিমাসে পিরিয়ডের ৭ থেকে ১০ দিন পরে পরীক্ষাটি করা ভালো। এ সময় ব্রেস্টে লাম্পের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম।
দাঁড়িয়ে অনুভব

এই ধাপটি গোসলের সময় বা যে কোনো সময় দাঁড়িয়ে করতে পারেন। গোসলের সময় বা অব্যবহিত পরে শরীরের পেশী শিথীল থাকে বলে সেসময় পরীক্ষাটি করা সবচেয়ে ভালো। হাতের মধ্যের তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে হবে। ডান হাতে বাঁ দিকের ব্রেস্ট, এবং বাঁ হাতে ডান দিকের ব্রেস্ট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরীক্ষা করুন। অন্য হাতটি মাথার উপর ধরে রাখুন। লক্ষ্য করুন, কোনো শক্ত দলা, দড়ি পাকানো কিংবা মোটা হয়ে আসা অংশ অনুভুত হয় কিনা। এছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন অনুভব করেন কিনা দেখুন।

এই ধাপটি গোসলের সময় বা যে কোনো সময় দাঁড়িয়ে করতে পারেন। গোসলের সময় বা অব্যবহিত পরে শরীরের পেশী শিথীল থাকে বলে সেসময় পরীক্ষাটি করা সবচেয়ে ভালো। হাতের মধ্যের তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে হবে। ডান হাতে বাঁ দিকের ব্রেস্ট, এবং বাঁ হাতে ডান দিকের ব্রেস্ট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরীক্ষা করুন। অন্য হাতটি মাথার উপর ধরে রাখুন। লক্ষ্য করুন, কোনো শক্ত দলা, দড়ি পাকানো কিংবা মোটা হয়ে আসা অংশ অনুভুত হয় কিনা। এছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন অনুভব করেন কিনা দেখুন।
দাঁড়িয়ে আয়নায় দেখে

দুহাত দুপাশে রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় এবং দুহাত উপরে তুলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ব্রেস্টের পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।

দুহাত দুপাশে রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় এবং দুহাত উপরে তুলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ব্রেস্টের পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।
লক্ষ্য করুন ব্রেস্টের আকারে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা। কোথাও ফুলে উঠেছে কিনা, চামড়ার রংয়ে পরিবর্তন এসেছে কিনা, চামড়া কুঁচকে গেছে কিনা কিংবা নিপলে কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে কিনা। এরপর কোমরে দুহাত রেখে শক্ত করে বুকের পেশী টেনে ধরুন এবং কোনো পরিবর্তন দেখতে পান কিনা লক্ষ্য করুন। কারো কারো ক্ষেত্রে বাম এবং ডান ব্রেস্ট একই আকারের নাও হতে পারে। এটা স্বাভাবিক।
শুয়ে অনুভব

ডান কাঁধে বালিশ রেখে ডান হাত মাথার নীচে রাখুন। বাম হাতের মধ্যের তিন আঙ্গুল দিয়ে ডান দিকের বুকের উপর ধীরে এবং আলতো করে ছোটো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুকের চারদিকে পরীক্ষা করুন।

ডান কাঁধে বালিশ রেখে ডান হাত মাথার নীচে রাখুন। বাম হাতের মধ্যের তিন আঙ্গুল দিয়ে ডান দিকের বুকের উপর ধীরে এবং আলতো করে ছোটো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুকের চারদিকে পরীক্ষা করুন।
এরপর ধীরে ধীরে চাপ বাড়িয়ে মাঝারী চাপ এবং গভীর চাপে আবার পরীক্ষা করুন। নিপল চেপে ডিসচার্জ এবং শক্ত মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব পরীক্ষা করুন। একই ভাবে বাঁদিকের ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন।
উপসংহার
বিষয়টি নাজুক হলেও বাঁচতে হলে আমাদের জানতে হবে। সুতরাং অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই প্রতিমাসে একবার এই পরীক্ষাটি করুন। এবং বন্ধুদের জানান। পুরুষর হলেও সচেতন হোন এবং নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন।
বিষয়টি নাজুক হলেও বাঁচতে হলে আমাদের জানতে হবে। সুতরাং অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই প্রতিমাসে একবার এই পরীক্ষাটি করুন। এবং বন্ধুদের জানান। পুরুষর হলেও সচেতন হোন এবং নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন