বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়। প্রচারণার দিক দিয়ে এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি অনেক এগিয়ে। যারা এ চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন তাদের সাথে আলাপ করলেই এর ভালো-মন্দ দিক বেরিয়ে আসে। অপারেশন ছাড়াও যে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীর ব্লকের চিকিৎসা করা যায়, এটা কোনো কোনো চিকিৎসক মানতেই চান না। এ ক্ষেত্রে যুক্তি বিবেচনা ও আন্তর্জাতিক অগ্রগতির তথ্যপ্রমাণের তারা ধার ধারেন না। অথচ দেখুন, দেশের একজন শীর্ষস্খানীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কী বলেছেন। বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার অব: আবদুল মালিক সম্প্রতি কোয়ান্টামের মুক্ত আলোচনায় প্রদত্ত ভাষণে বলেন, ‘হৃদরোগের অনেক আধুনিক চিকিৎসা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। কিন্তু এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস অপারেশনসহ এ সব চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুলও বটে। এ ছাড়া ওষুধের পেছনেও হৃদরোগীদের খরচ খুব একটা কম নয়। আর এ সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো আছেই। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মেডিটেশন এবং লাইফস্টাইল-ভিত্তিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আমেরিকার ডা. ডিন অরনিশের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ব্যায়াম ও মেডিটেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার হৃদরোগী অপারেশন ও এনজিওপ্লাস্টি ছাড়াই সুস্খ হয়ে উঠেছেন।’
শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপকের এ বক্তব্যের সাথে সবিনয়ে আমি দুটো পয়েন্ট যোগ করব। সেই সাথে এই লেখায় একাধিক কেস স্টাডির উল্লেখও থাকবে। উল্লেখিত হৃদরোগীদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ তুলে দেয়া হচ্ছে। যে কেউ সহজেই প্রমাণ করতে পারবেন, আমরা ঠিক বলছি, নাকি মানুষকে বিভ্রান্ত করছি।
এবার আসা যাক ওই দু’টি পয়েন্টে। এক. চিলেশন থেরাপি; দুই. ইসিপি। দুটোই হচ্ছে হৃদরোগের বিকল্প চিকিৎসার ব্যথাহীন আধুনিকতম পদ্ধতি। প্রথম পদ্ধতিতে স্যালাইনের মতো শিরায় তরল ওষুধ সেবন করতে হয়। আবিষ্কারের খবরটি বিভিন্ন দেশের অনেক চিকিৎসাবিষয়ক পত্রিকায় স্খান পেয়েছে। ফলে ১৯৭৩ সালে চিকিৎসকদের হৃদরোগের চিকিৎসায় ইডিটিএ চিলেশন থেরাপির ব্যবহার শেখাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমেরিকান কলেজ ফর অ্যাডভান্সমেন্ট ইন মেডিসিন, এসিএএম।
আর দ্বিতীয়টি ইসিপি ব্লাডপ্রেসার মাপার সময়ে যে কাপড় জড়াতে হয়, সে রকমই বস্তু দুই পায়ে জড়িয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এটাকে বলা হয় ইসিপি। এই যন্ত্রটি সমান্তরাল রক্ত-চ্যানেল সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মেশিনটি কৃত্রিমভাবে ধমনীতে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। মেশিনের এক ঘন্টার সহায়তায় এই সমান্তরাল আর্টারি/ক্যাপিলারি সিস্টেম চালু করে দেয় এবং হৃৎপিণ্ডের পেশিতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন শুরু করে। সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক চ্যানেল চালু করার জন্য এই মেশিনের মাধ্যমে পঁয়ত্রিশটির মতো সেশনের প্রয়োজন পড়ে। এভাবে খুব সহজেই বাইপাস সার্জারির বিকল্প হতে পারে এই মেশিন। ইউএস এফডিএ স্বীকৃত।
শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপকের এ বক্তব্যের সাথে সবিনয়ে আমি দুটো পয়েন্ট যোগ করব। সেই সাথে এই লেখায় একাধিক কেস স্টাডির উল্লেখও থাকবে। উল্লেখিত হৃদরোগীদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ তুলে দেয়া হচ্ছে। যে কেউ সহজেই প্রমাণ করতে পারবেন, আমরা ঠিক বলছি, নাকি মানুষকে বিভ্রান্ত করছি।
এবার আসা যাক ওই দু’টি পয়েন্টে। এক. চিলেশন থেরাপি; দুই. ইসিপি। দুটোই হচ্ছে হৃদরোগের বিকল্প চিকিৎসার ব্যথাহীন আধুনিকতম পদ্ধতি। প্রথম পদ্ধতিতে স্যালাইনের মতো শিরায় তরল ওষুধ সেবন করতে হয়। আবিষ্কারের খবরটি বিভিন্ন দেশের অনেক চিকিৎসাবিষয়ক পত্রিকায় স্খান পেয়েছে। ফলে ১৯৭৩ সালে চিকিৎসকদের হৃদরোগের চিকিৎসায় ইডিটিএ চিলেশন থেরাপির ব্যবহার শেখাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমেরিকান কলেজ ফর অ্যাডভান্সমেন্ট ইন মেডিসিন, এসিএএম।
আর দ্বিতীয়টি ইসিপি ব্লাডপ্রেসার মাপার সময়ে যে কাপড় জড়াতে হয়, সে রকমই বস্তু দুই পায়ে জড়িয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এটাকে বলা হয় ইসিপি। এই যন্ত্রটি সমান্তরাল রক্ত-চ্যানেল সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মেশিনটি কৃত্রিমভাবে ধমনীতে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। মেশিনের এক ঘন্টার সহায়তায় এই সমান্তরাল আর্টারি/ক্যাপিলারি সিস্টেম চালু করে দেয় এবং হৃৎপিণ্ডের পেশিতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন শুরু করে। সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক চ্যানেল চালু করার জন্য এই মেশিনের মাধ্যমে পঁয়ত্রিশটির মতো সেশনের প্রয়োজন পড়ে। এভাবে খুব সহজেই বাইপাস সার্জারির বিকল্প হতে পারে এই মেশিন। ইউএস এফডিএ স্বীকৃত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন