ডিসমেনোরিয়া বা মাসিককালীন ব্যথা দু'প্রকার। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়াতে জরায়ুতে কোনো রোগ থাকে না। মাসিক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হয়। ২-৩ দিন ব্যথা থাকে। বেশিরভাগ মেয়েই এ ধরনের ব্যথায় ভোগেন। জীবনের প্রথম মাসিকের সময় থেকেই এ ব্যথা শুরু হয়। সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর মেয়েদের প্রজননতন্ত্রে ইনফেকশনের কারণে দেখা যায়। এ ছাড়াও ফাইব্রয়েড, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, অ্যাডেনোমায়োসিসও হতে পারে সেকেন্ডারি মাসিককালীন ব্যথা। এ ক্ষেত্রে মাসিকের আগে ও পুরো মাসিকের সময়জুড়ে ব্যথা থাকে। মাসিকের পর ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে। সাধারণত প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায় আক্রান্তদের তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। সেকেন্ডারিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করার জন্য হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব সিএস, সারভাইক্যাল সোয়াব, ইউরিন কালচার, আলট্রাসনোগ্রামের প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা : প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সন্তান ধারণ করলে এ ব্যথা আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত, তারা প্রতি সাইকেলে ব্যথা হলে ব্যথানাশক এনএসআইডি যেমন আইবুপ্রোফেন সেবন করলে ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়াও ৩-৪ সাইকেল ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করে এ সমস্যা মুক্ত হওয়া সম্ভব। ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করতে হবে। সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে কোন কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হচ্ছে, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
মাসিকে কি শরীর দুর্বল হতে পারে।
উত্তরমুছুনহ্যা, স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর দুর্বল হতে পারে।
মুছুনsababik atai hobe
মুছুনmasicar somye blooding khub elpo porimane hole kono semoshy aache ki?
উত্তরমুছুনসবসময় হলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু হঠাৎ করে কম এবং বেশ কিছু দিন চললে, তখন একজন গাইনীর চিকিৎসকের সাথে আলাপ করবেন।
মুছুনতবে, আপনি কিন্তু আপনার বয়স বলেননি। ৪০ এর পর অনিয়মিত হতে পারে।এজন্য ঘাবড়াবার কিছু নাই।