শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

জোগ্রেন সিনড্রোম


চোখ শুকিয়ে যাওয়া সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ব্রিটেনের ফিওনা সিওয়েলের সমস্যা ছিল আরও বেশি। ঘুম থেকে ওঠার পর তার চোখের পাতা দুটো যেন আলাদাই হতে চাইত না। চোখের সাদা অংশ লালচে রঙ ধারণ করত। দৃষ্টিশক্তিও কমে আসছিল দিন দিন। সারা দিনই তাকে ক্লান্ত, অবসন্ন মনে হতো। ওষুধ হিসেবে আই ড্রপও কোনো কাজে লাগছিল না। কিছুদিন পর আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিল। মুখ শুকিয়ে আসা, ঢোক গিলতে 

সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা নিয়মিতই হতে লাগল। মাঝে মধ্যে ক্লান্তি এত হতো যে কাজ বাদ দিয়ে তাকে শুয়ে পড়ত হতো। শুয়ে পড়লে বাঁধভাঙা ঘুম আসত। 
এ অবস্থায় প্রায় আটটি বছর কাটিয়ে দেন ফিওনা। সম্প্রতি তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকরা জানান, ফিওনা জোগ্রেন  সিনড্রোমে ভুগছেন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি শরীরেরই কিছু অংশকে জীবাণু হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেরই কিছু কোষকে আক্রমণ করে বসে। এর কারণেই এমন শুকিয়ে যাওয়া শুরু হয়। ব্রিটেনে জোগ্রেনে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ। কিছুদিন আগে আমেরিকান টেনিস তারকা ভেনাস উইলিয়ামও এ রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। 
শরীরের নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে শ্বেতকণিকা আক্রমণ করলে এ সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের যেখানেই আর্দ্রতা দরকার সেখানে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা সৃষ্টির কারণ কী তা এখনও অজানা। ফলে এর কোনো ওষুধও নেই। সাধারণত নারীরা এতে বেশি আক্রান্ত হন। ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকদের ধারণা, মেনোপজের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক রয়েছে। 

সূত্র :মেইল অনলাইন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন