
টনসিল প্রদাহের উপসর্গ
টনসিল প্রদাহের উপসর্গগুলোর মধ্যে প্রধান উপসর্গ হচ্ছে গলায় ব্যথা। কেউ কেউ বছরে অনেকবার টনসিলের প্রদাহে আক্রান্ত হয়। অনেকে বছরের পর বছর টনসিল প্রদাহে ভুগে থাকে। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে টনসিল ও গলার লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে যায়, অনেক শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। ক্রনিক প্রদাহের ফলে বিশেষ করে শিশুদের বেলায় টনসিল এত বড় হয়ে যায় যে, রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এবং খাওয়া-দাওয়ায় অসুবিধা হয়। দীর্ঘমেয়াদি টনসিলের প্রদাহ হলে বিভিন্ন রকম জটিলতা দেখা দেয়, যেমন রিউমেটিক ফিভার, হার্ট এবং কিডনির বিভিন্ন সমস্যা। সর্বোপরি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে।
যখন টনসিল অপারেশন করাবেন
টনসিলের তীব্র প্রদাহ ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি টনসিল প্রদাহে যাদের বছরে চার-পাঁচবারের বেশি ইনফেকশন হয় অথবা যেসব রোগী বছরের পর বছর ভোগে, তাদের অপারেশন করা প্রয়োজন। টনসিল অনেক বড় হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, শিশুদের রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হলে, টনসিলে ফোঁড়া হলে, হঠাৎ একদিকের টনসিল অনেক বড় হলে যদি ক্যান্সার সন্দেহ হয়, টনসিলে টিবি রোগ হলে এবং অন্যান্য কারণে টনসিল অপারেশন করা দরকার।
টনসিল অপারেশনের পদ্ধতি
টনসিল অপারেশনের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যেমন ডিসেকশন মেথড, ইলেকট্রকটারি, লেজার, কোবলেশন ও আলট্রাসনিক। ডিসেকশন মেথড বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। এ উপায়ে অপারেশনের সময় কিছু রক্তপাত হয় এবং রক্তনালিগুলো সেলাই করে দিতে হয়। লেজার, কোবলেশন এবং আলট্রাসনিক উপায়ে টনসিল অপারেশন অনেক উন্নতমানের এবং ব্যয়বহুল। এতে উপযুক্ত ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ সার্জনের প্রয়োজন।
আলট্রাসনিক টনসিল অপারেশনের সুবিধা
রক্তপাতহীন, নিরাপদ এবং আধুনিক, অত্যন্ত কম সময় লাগে, অপারেশনের পরই রোগী মুখে খেতে পারবে, দ্রুত আরোগ্য লাভ এবং রোগী শিগগিরই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরে যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন