১) অ্যালকোহল সেবন: ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে অ্যালকোহল সেবন সাধারণ ব্যাপার। কেউ কেউ মনে করেন মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি পথ অ্যালকোহল সেবন বা মদ পান। কিন্তু, সেটা যে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, সেটা গবেষকরাই বারবার প্রমাণ করেছেন। তারা বলছেন, মানুষের শরীর যেভাবে মানসিক কোন আঘাত বা চাপকে সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যালকোহল সে সিস্টেমটাকেই পরিবর্তন করে দেয়। আর সেটা তীব্র মাথা ব্যথা থেকে গড়ায় মাইগ্রেইন পর্যন্ত।
২) ক্যাফেইন (চা, কফি): চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। এ পানীয়সমূহ শীতপ্রধান দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ। তাই তা পরিমিত মাত্রায় পান করার বিকল্প নেই। আর, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে অল্প পরিমাণে পান করাই শ্রেয়তর। ঘুমের আগে তো নয়ই। কারণ, অতিরিক্ত চা বা কফি পানের সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চঞ্চল ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওঠে শরীর ও মন। এক পর্যায়ে এ অভ্যাস ঘুমের সমস্যায় রূপ নেয়। আর, শেষ পর্যন্ত তা গড়ায় একেবারে মাইগ্রেন পর্যন্ত।
৩) অপর্যাপ্ত ঘুম: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা ঘুমের ব্যাপারে উদাসীন। তারা ঘুমের সঠিক সময়টা জানা সত্ত্বেও মেনে চলতে চান না। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম পর্যাপ্ত হলেও, কেউ কেউ নিজের ইচ্ছামতোই সময়গুলো নির্ধারণ করে নেন। মাঝরাতে ঘুমিয়ে সকালে দেরি করে ওঠার অভ্যাসও খুব স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা সমস্যার জন্ম দিতে পারে। আর সেটা হাল্কা থেকে তীব্র মাথাব্যথা পর্যন্ত গড়াতে পারে।
৪) আবহাওয়া পরিবর্তন: আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনেও মাথাব্যথা হতে পারে। প্রচণ্ড গরম, হাড় কনকনে ঠাণ্ডা বা অতিরিক্ত আর্দ্র আবহাওয়া মাইগ্রেনের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
৫) উচ্চ শব্দ বা কোলাহল: কোন ব্যক্তি যদি উচ্চ শব্দ বা কোলাহলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন, তাতে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। অনেকেই লাউড স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান শুনতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ কানের মধ্যে এয়ারফোন বা হেডফোন দিয়ে জোরে গান শোনেন। এভাবে কানের বারোটা তো বাজেই, তার সঙ্গে স্থায়ীভাবে যোগ হয় মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা।
নেট থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন