রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

গ্যাস্ট্রিক তাড়াবে যে খাবার

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন? খাবার সময় একটু ওলট পালট হলেই শুরু হয় সমস্যা? অনেকেই বছরের প্রায় সময় এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। যেকোনো জায়গায় এই সমস্যার প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি-দামি ওষুধ। কিন্তু যখন আমাদের হাতের কাছে রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস, যা দিয়ে দ্রুত এই গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব তবে কেন খাবেন আপনি ঔষধ? চলুন তবে দেখে নিই গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি তাৎক্ষণিকভাবে তাড়ায় যে খাবার। 

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে
আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া পুদিনা পাতা আপনাকে বদহজম থেকেও দূরে রাখবে। 

লবঙ্গ
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করবে লবঙ্গ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবোতে থাকুন। এবং চুষে রসটা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে কিছুখনের মধ্যেই।

জিরা

এক চা চামচ জিরা একটি প্যানে নিয়ে শুকনো করে ভেজে ফেলুন। এরপর ভাজা জিরা এমন ভাবে গুঁড়ো করুন যেন একেবারে পাউডার না হয়ে যেয়ে একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এরপর একগ্লাস পানিতে জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না।

আদা

আদা বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর। প্রতিবার খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা কাঁচা চিবিয়ে খান দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেকবারেই থাকবে না।

গুড়

গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রেহাই দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায় ততোক্ষণ মুখে রেখে দিন। তবে এই সমাধান অবশ্যই ডায়বেটিস রোগিদের জন্য নয়।

তুলসি পাতা

ঔষধি গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা কে না জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এটি বেশ কার্যকর। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে ৫/৬ টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। এছাড়া প্রতিদিন তুলসি পাতা পানির সাথে ব্লেন্ড করে খেলে একেবারে দূর হবে গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা।

দুধ

দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর বাড়তি এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে ঠান্ডা দুধটুকু পান করে নিন। দেখবেন সারাদিন এসিডিটির সমস্যা হবে না। তবে যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকবেন।

বোরহানী

বিয়ে বাড়িতে পোলাও রেজালার সাথে বোরহানি কেন রাখা হয় জানেন? কারণ এটি গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি এবং বদহজম থেকে রক্ষা করে। বোরহানি টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি এসিডিটি বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী । প্রতিদিন খাবারের পর একগ্লাস বোরহানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন