
এক বা দু’বারের বেশি গর্ভপাত হলে পরবর্তী জীবনে ওই মহিলার জন্য হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। জার্মান গবেষকরা সম্প্রতি জানিয়েছেন এমন আশঙ্কার কথা। তারা বলেন, তিনবারের চেয়ে বেশি গর্ভপাত হলে ওই মহিলার ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পাঁচগুণ বেড়ে যায়। ‘হার্ট’ নামের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাদের গবেষণার ফলাফল। তবে এটা কেন হয়, সে ব্যাপারে পরিষ্কারকোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তারা। খবর বিবিসি
অবশ্য বারবার গর্ভপাতে তরুণ বয়সে ঝুঁকির পরিমাণটা নেহাত কম হলেও চিকিত্সকরা পরিণত বয়সে তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাবধান হলেই ভালো করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
মধ্য ৩০ থেকে মধ্য ৬০-এর মাঝামাঝি বয়সী সাড়ে ১১ হাজার মহিলার ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত এমন নারীদের গর্ভধারণের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা জেনেছেন, তাদের মধ্যে বারবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যাই বেশি। প্রতি ৫ জন মহিলার মধ্যে একজন আছেন যৌবনে যার বেশ কয়েকবার গর্ভপাত ঘটেছে। তবে এ হার বেশিও হতে পারে এমন মহিলার ক্ষেত্রে, যাদের গর্ভধারণ ও গর্ভপাত নিজেরা বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেছে।
গবেষকরা বলেছেন, হৃদরোগের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে আছে মদ ও ধূমপান, মাত্রাতিরিক্ত স্থূলতা ও ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। তবে বারবার গর্ভপাতের দরুন এ ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ৫০০ শতাংশ। তবে তিনবারের চেয়ে কম গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ঝুঁকি এর চেয়ে কিছু কম।
জার্মানির হেইডেলবার্গের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বলেন, তরুণী বয়সে এটা বোঝা না গেলেও পরিণত বয়সে বেশি গর্ভপাতের কারণ হিসেবে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রাচুর্য দেখা যায়।
তারা এ মর্মে চিকিত্সকদের পরামর্শ দেন, গর্ভপাত হয়েছে এমন মহিলাদের চিকিত্সকদের উচিত তার রেকর্ড রাখা। তাহলে পরিণত বয়সে কোনো মহিলার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা তা বুঝতে সুবিধা হয়।
তবে সব বিশেষজ্ঞ অবশ্য এতে একমত হননি। তাদের মতে, এটা আসলে একটা উদ্বেগের বিষয়। তবে হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর গর্ডন স্মিথ বলেছেন, এটা সম্ভব যে, গর্ভপাত ও হৃদরোগের কিছু সাধারণ ঝুঁকি রয়েছে। গর্ভধারণকালে গর্ভপাতের ঝুঁকিগুলো প্রকাশ পেতে পারে। ফলে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। আর পরিণত বয়সে সেগুলো হৃদরোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে।’
ওদিকে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র এ গবেষণা দিয়ে এখনও কোনো পরিষ্কার সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
অবশ্য বারবার গর্ভপাতে তরুণ বয়সে ঝুঁকির পরিমাণটা নেহাত কম হলেও চিকিত্সকরা পরিণত বয়সে তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাবধান হলেই ভালো করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
মধ্য ৩০ থেকে মধ্য ৬০-এর মাঝামাঝি বয়সী সাড়ে ১১ হাজার মহিলার ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত এমন নারীদের গর্ভধারণের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা জেনেছেন, তাদের মধ্যে বারবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যাই বেশি। প্রতি ৫ জন মহিলার মধ্যে একজন আছেন যৌবনে যার বেশ কয়েকবার গর্ভপাত ঘটেছে। তবে এ হার বেশিও হতে পারে এমন মহিলার ক্ষেত্রে, যাদের গর্ভধারণ ও গর্ভপাত নিজেরা বুঝে ওঠার আগেই ঘটে গেছে।
গবেষকরা বলেছেন, হৃদরোগের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে আছে মদ ও ধূমপান, মাত্রাতিরিক্ত স্থূলতা ও ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। তবে বারবার গর্ভপাতের দরুন এ ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ৫০০ শতাংশ। তবে তিনবারের চেয়ে কম গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ঝুঁকি এর চেয়ে কিছু কম।
জার্মানির হেইডেলবার্গের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বলেন, তরুণী বয়সে এটা বোঝা না গেলেও পরিণত বয়সে বেশি গর্ভপাতের কারণ হিসেবে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রাচুর্য দেখা যায়।
তারা এ মর্মে চিকিত্সকদের পরামর্শ দেন, গর্ভপাত হয়েছে এমন মহিলাদের চিকিত্সকদের উচিত তার রেকর্ড রাখা। তাহলে পরিণত বয়সে কোনো মহিলার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা তা বুঝতে সুবিধা হয়।
তবে সব বিশেষজ্ঞ অবশ্য এতে একমত হননি। তাদের মতে, এটা আসলে একটা উদ্বেগের বিষয়। তবে হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর গর্ডন স্মিথ বলেছেন, এটা সম্ভব যে, গর্ভপাত ও হৃদরোগের কিছু সাধারণ ঝুঁকি রয়েছে। গর্ভধারণকালে গর্ভপাতের ঝুঁকিগুলো প্রকাশ পেতে পারে। ফলে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। আর পরিণত বয়সে সেগুলো হৃদরোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে।’
ওদিকে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র এ গবেষণা দিয়ে এখনও কোনো পরিষ্কার সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন