রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১১

সাপ দংশন করলে ফার্স্ট এইড বা প্রাথমিক চিকিৎসা কি হবে ?

সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। মানুষ যত টা সাপ কে ভয় খায় ঠিক ততটাই সাপ মানুষ কে ভয় খায় । ব্যাতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোন কিছু আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো।
বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে­ বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা , ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া , আর কাটা দাগ থেকেও আপনি বুঝতে পারবেন দংশন করা সাপ টি বিষধর না যদি সাপের কামড়ানো জায়গায় প্রায় এক ইঞ্চি ব্যবধানে দাতের চিহ্ন দেখা যায় , মাঝে মাঝে কাটা স্থান অনেক স্পস্ট হয় , এরকম হলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে কোন বিষধর সাপ দংশন করেছে । আর যদি কামড়ের দাগ অধিক বা খাড়া বা অধিক চন্দ্রাকার হয় তবে এই সাপ টা বিষধর নয় । সাপ দংশন করার পর আপনার ফার্স্ট এইড বা প্রাথমিক চিকিৎসা কি হবে তা নিন্মে আলোচনা করা হল ।
  • প্রথমেই যে স্থানে দংশন করে ছে তা খুজে বেড় করা এবং তার শিরার রক্ত চলাচল বন্ধ করতে হবে ।
  • পায়ে কামড় দিলে প্রথমেই উরুর মাঝামাঝি স্থানে একটি বাঁধন দিতে হবে এবং তারপর তার নিচের দিকে অর্থাৎ হাটুর একটু উপরেই আরেকটি  বাঁধন দিতে হবে ।
  • ৩০/৩৫ মিঃ পরপর বাঁধন গুলো ৩০ সেকেন্ট এর মত আলগা করে দিয়ে আবার শক্ত করে বাঁধন দিতে হবে । তবে এই সময় একটা জিনিস মনে রাখবেন বাঁধন গুলো যেন শিরার রক্ত চলাচল বন্ধ করে ধমনীর না । মানে বিষ যেন রক্তের সাথে মিশে যেতে না পারে ।
  • নিশাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপায় শাস-প্রশাস আনার চেস্টা করতে হবে ।
  • রোগী কে গরম রাখার জন্য চা , কফি খায়াতে হবে । কোন ভাবেই বিশ্রাম করতে দেয়া যাবে না ।
  • কামড়ের জায়গা ধারালো ব্লেড দিয়ে যোগ চিহ্নের মত করে ৩/৪” ইঞ্চি পরিমান গভির করে করে কেটে তাতে পটাশিয়াম পারমাংগানেটের গুরা দিয়ে দিতে হবে। তবে হাত বা পা বাদে দেহের অন্য জায়গায় কামড় দিলে ডাক্তার কাছে না নেয়া পযন্ত কোন যায়গা কাটা যাবে না , তবে এই ক্ষেত্রে উপরের কাজ গুলো করা যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন