এখন তো বেড়ানোর সময়। দুই চোখ মেলে প্রকৃতির অবাধ সৌন্দর্য উপভোগের অবসর। বেড়াতে গেলে তো ফুর্তিতে থাকবেনই। থাকতে মানাও নেই; কিন্তু চোখের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ চোখ অমূল্য সম্পদ। চোখে আঘাত পেলে তো পৃথিবীর রূপ দেখা থেকেই বঞ্চিত হবেন। বাইরে গেলে ধুলোবালি চোখে পড়তে পারে, রোদও লাগে। যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের কিন্তু এতে চোখ ভীষণ চুলকায়। চোখ দিয়ে পানিও পড়ে। তাই ভ্রমণে বের হওয়ার আগে সানগ্গ্নাস নিতে ভুলবেন না। বেড়াতে গেলে বিভিন্ন আঘাতের কারণেও চোখের ক্ষতি হতে পারে। গাছের কাঁটা, কাচের টুকরো, মাছের কাঁটা ইত্যাদি থেকে আঘাত লাগতে পারে। সামান্য আঘাত থেকে গুরুতর আঘাত কোনোটিই অবহেলা করা উচিত নয়। চোখের কালো মণিতে আঘাত বেশি ভয়ঙ্কর। সামান্য আঘাত থেকেই সময়মতো চিকিৎসা না করালে অনেক রকম জটিলতা দেখা যায়, যেমন_ চোখের আলসার, চোখে দাগ পড়া, চোখের ইনফেকশন ইত্যাদি। শুধু চোখের কালো অংশই নয়, চোখের সাদা অংশ, চোখের পাতা ইত্যাদি জায়গায়ও আঘাতের অতিসত্বর চিকিৎসা দরকার। প্রয়োজন হলে অপারেশনও অর্থাৎ চোখের পাতাতে সেলাই লাগতে পারে। এ তো গেল সামান্য আঘাত, বেশি আঘাত লাগলে চোখের মণি অনেক সময় ফেটে যায়, যার জন্য অপারেশন প্রয়োজন পড়ে। এটি ঠিক হওয়া অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এতে অনেক সময় অপারেশন-পরবর্তী রোগীর চোখের মণিতে দাগ পড়ে এবং রোগী চোখে খুব কম দেখে। আঘাতের পরিমাণ বেশি হলে অপারেশন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই আঘাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
কোনোরকম ড্রপ অথবা ঝাড়ফুঁক দিয়ে এ আঘাতের চিকিৎসা সম্ভব নয়। বেড়াতে গেলে ভ্রমণের আনন্দে অনেক সময় শিশুদের দিকে খেয়াল করা হয় না। তাই তারাও চোখে আঘাত পেতে পারে। এজন্য শিশুদের অবশ্যই সাবধানে রাখা উচিত। ছুরি, কাঁচি, লাঠি, চামচ, ঝাড়ূ ইত্যাদি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। শিশুদের আঘাত লাগলে কোনোরকম অবহেলা করা উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চক্ষু হাসপাতাল অথবা চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন