
হিলের ব্যথার কারণ :হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা ষ পল্গান্টার ফাসার প্রদাহ ষ হাই আর্চড বা ফ্লাট পা ষ ডায়াবেটিক রোগীরা পল্গান্টার ফাসার প্রদাহে বেশি আক্রান্ত হয় ষ ক্যালকেনিয়াম স্পার (অতিরিক্ত হাড়) ষ হাড়ের ইনফেকশন ষ শরীরের অতিরিক্ত ওজন ষ হাড়ের টিউমার ষ ক্যালকেনিয়াম হাড়ের ভেঙে যাওয়া ষ ক্যালকেনিয়াম বার্সার প্রদাহ (বার্সাইটিস) ষ পেশির প্রদাহ (টেনডিনাইটিস একিলিস) ষ রেটরো একিলিস টেনডন বার্সাইটিস ষ পল্গান্টার নার্ভ ইন্ট্রাপমেন্ট ষ ট্রমা বা আঘাত ষ আর্থ্রাইটিস ষ নতুন বা ত্রুটিযুক্ত জুতা ব্যবহার করলে।
লক্ষণ :বাম গোড়ালিতে প্রথম ব্যথা হয় ষ ব্যথা গোড়ালির তলায় বা পেছনে হয় ষ বেশিক্ষণ হাঁটা বা দাঁড়ানো যায় না ষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথার জন্য পায়ে ভর দেওয়া যায় না। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে ব্যথা কছুটা কমে আসে ষ অনেকক্ষণ বিশ্রামে থাকার পর পা মাটিতে ফেলতে অসুবিধা হয় ষ খালি পায়ে হাঁটলে বেশি ব্যথা হয় ষ অসমতল জায়গায় হাঁটা কষ্ট হয় ষ গোড়ালি ব্যথার সঙ্গে কখনও পা জ্বলে যায়_ এ রকম মনে হবে।
করণীয় : চিকিৎসা প্রদানের আগে গোড়ালি ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এ লক্ষ্যে রোগীকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় কিছু ল্যাবরেটরি টেস্ট করাতে হবে। যেমন_ রক্তের গ্গ্নুকোজ, রক্তের সিবিসি, সিরাম ইউরিক এসিড, সিরাম আরএ ফ্যাক্টর, গোড়ালির এক্স-রে এবং নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট। এসব পরীক্ষার পর যা করতে হবে তা হলো_ উপযুক্ত মাপের জুতা পরিধান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর জুতা পরিবর্তন করতে হবে ষ অসমতল ও পাথরের ওপর এবং শক্ত জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা নিষেধ ষ নরম জুতা বা ইনসোল লাগানো জুতা ব্যবহার করা উচিত ষ ফ্লাট ফুট হলে আর্চ সাপোর্ট লাগাতে হবে ষ প্রয়োজনে উঁচু হিল ব্যবহার করতে হবে ষ গোড়ালি ও টেনডো একিলিসের স্ট্রেসিং ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে ষ ফিজিক্যাল থেরাপি যেমন_ এসডবিল্গউডি, এসটি ব্যবহার করা যেতে পারে ষ বেদনানাশক ওষুধ সেবন করা ষ স্টেরয়েড ইনজেকশন পুশ করলে সাময়িক ব্যথামুক্ত থাকা যায় ষ ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে আরথ্রোস্কোপ প্রবেশ করিয়ে ক্যালকেনিয়াম স্পার এবং টিউবেরোসিটি ছোট টুকরা করে বের করা হয়। তবে চিকিৎসার চেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিরোধ। আমাদের একটু সতর্কতা ও সাবধানতায় গোড়ালির যে কোনো আঘাত থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন