স্তন ক্যান্সার নারীর জন্য মূর্তমান আতঙ্ক হলেও এটি কিন্তু অনেক ক্যান্সারের তুলনায় ভালো। যেমন_ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের কথাই ধরা যাক। এটা এমনই মারাত্মক ক্যান্সার যে, তা বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না। একেবারে শেষদিকে এটি ধরা পড়ে। আর যখন ধরা পড়ে তখন করার কিছুই থাকে না। অথচ একটু সচেতন হলেই এ ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা করানো সম্ভব হলে রোগমুক্ত হয়ে ১০ বছর বেঁচে থাকার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে আপনি একজন চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ জন্য মাসে আপনাকে কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। নিজে নিজে আপনার স্তন পরীক্ষা করুন। মাসিক শুরুর ৭ থেকে ১০ দিন পর বা মাসিক শেষ হওয়ার তিন দিন পর স্তন পরীক্ষা করা সবচেয়ে ভালো সময়। এ সময় স্তনের তারল্য এবং কোষের বৃদ্ধি কমে যাওয়ায় স্তনে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা ভালোভাবে বোঝা যায়। শরীরের উপরের অংশ থেকে কাপড় খুলে দুই হাত পাশে রেখে আয়নার সামনে বসুন। এবার ভালোভাবে লক্ষ্য করুন স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা যেমন_ দুটো স্তনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে কি-না, স্তনের আকার-আকৃতি ও কালারে পরিবর্তন, দুটো নিপল বা স্তন বোঁটা একই লাইনে আছে কি-না, নিপল ভেতরে ঢুকে গেছে কি-না, স্তনের ত্বকে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় কি-না, নিপল থেকে রক্তিম বা পানির মতো কিছু বের হয় কি-না। এবার হাত আস্তে আস্তে মাথার ওপরে তুলুন। দেখুন, স্তনের ত্বক কমলালেবুর খোসার মতো মনে হচ্ছে কি-না, কোনো চাকা দেখা যায় কি-না। এবার পুরো স্তনকে চার ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ হাতের আঙুল দিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করুন। হাতে চাকার মতো কিছু লাগে কি-না, তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি স্তনে কোনো চাকা বা উপরের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এভাবে প্রতি মাসে একবার স্তন নিজে নিজে পরীক্ষা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন