বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৮ জন নারী মারা যায় জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বা সার্ভাইকাল ক্যান্সারে। বিশেষ সমীক্ষায় (বিএমএমএস-২০১০) দেখা গেছে, পূর্ণবয়স্ক নারীর মৃত্যুর কারণ হচ্ছে এ ক্যান্সার। সার্ভিক্স জরায়ুর নিুতম অংশ, অনেক সময় মেয়েরা আঙ্গুল দিয়ে এটা স্পর্শ করতে পারে যোনীপথ দিয়ে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার ৯৩১ জন নারী নতুন করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বর্তমানে বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রতিবছর প্রায় অর্ধকোটি নারী নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হন।
কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
যে কোন নারীরই জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ যারা
× অল্প বয়সে যাদের বিয়ে হয়, জরায়ু পরিপক্বতা লাভের আগেই ইনফেকশন বা ঝুঁকিতে চলে আসে।
× শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব যেখানে একই কারণে জরায়ু-মুখে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
× একের অধিক পুরুষের সঙ্গে মিলনের ফলে।
× ঋতুস্রাবের পরপরই অ্যাবরশন বা প্রসবের পর জরায়ু যে কোন ইনফেকশনের (প্রদাহ) ঝুঁকিতে থাকে।
× যাদের অধিক সন্তান আছে তাদের জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বেশি হয়।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে এক ধরনের ভাইরাস দায়ী। একে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বলে। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস আবিষ্কারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যিনি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন, তিনি ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এ জীবাণু (ভাইরাস) যে কোনভাবে, অথবা দৈহিক মিলনের ফলে সংক্রমিত হয় জরায়ু-মুখে। তবে শারীরিক মিলনের আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ মেয়েরা নিরাপদে থাকে। শতকরা ৮০ ভাগ নারী জীবনের যে কোন সময়ে ঐচঠ ভাইরাস দ্বারা এক বা একাধিক বার আক্রান্ত হতে পারে। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ২৫-৬৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। তবে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের ২-২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের লক্ষণ
×দুর্গন্ধযুক্ত প্রদাহ বা সাদাস্রাব
× ফোঁটা ফোঁটা বা অনিয়মিত রক্তস্রাব বিশেষ করে যৌন মিলনের পরপর যোনীপথে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখা বা অধিক পরিশ্রম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের পর হঠাৎ রক্ত দেখা।
× অনেকদিন ধরে ক্যান্সার থাকলে , বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন:
× সব সময় পচা পানির মতো দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব দেখা
× সব সময় রক্ত যাওয়া
× প্রস্রাব বা পায়খানার রাস্তায় অসুবিধা হওয়া
×কোমর বা মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা
× তলপেটে চাকা অনুভব করা
প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সম্পাদন করা যায়। দেরি হয়ে গেলে সবকিছুরই কঠিন সমস্যা দেখা দেয়, তখন কেমো বা রেডিওথেরাপি শুধু ভরসা।
কিভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়
প্রথমে দেখা যাক প্রতিরোধ করা যায় কিভাবে। বর্তমানে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অতি কার্যকর টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। টিকা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত জরায়ু পরীক্ষা ও সচেতনতা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের আক্রান্তের হার কমিয়ে দেয় বা খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার প্রাথমিক লক্ষণ ধরা যায়।
১০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সব মেয়ে বা নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা নিতে পারেন। এ টিকার তিনটি ডোজ নিতে হয়।
১ম ডোজ যে কোন দিন, ২য় ডোজ ১ম ডোজের ১ মাস পর, ৩য় ডোজ ১ম ডোজের ৬ মাস পর
এ টিকা দীর্ঘমেয়াদি জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রারম্ভিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ পদ্ধতি বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে আছে।
× পেপস স্মিয়ার টেস্ট
× ভায়া টেস্ট ও কলপোস্কপি টেস্ট
× বায়োসপি
প্রজননক্ষম মেয়েদের (১৫-৪৫ বছর) বা যাদের কোনরকম সন্দেহ হচ্ছে যে, ক্যান্সার টেস্ট করা দরকার ; বছরে ১ বার বা নেগেটিভ ক্ষেত্রে ৩ বছর পর পর এ টেস্ট করতে হবে।
আমাদের দেশে প্রতিটি মেয়ে বা নারীকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন যাতে এ ঘাতকের হাত থেকে তার প্রিয়জনকে রক্ষা করতে পারেন।
কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
যে কোন নারীরই জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ যারা
× অল্প বয়সে যাদের বিয়ে হয়, জরায়ু পরিপক্বতা লাভের আগেই ইনফেকশন বা ঝুঁকিতে চলে আসে।
× শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব যেখানে একই কারণে জরায়ু-মুখে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
× একের অধিক পুরুষের সঙ্গে মিলনের ফলে।
× ঋতুস্রাবের পরপরই অ্যাবরশন বা প্রসবের পর জরায়ু যে কোন ইনফেকশনের (প্রদাহ) ঝুঁকিতে থাকে।
× যাদের অধিক সন্তান আছে তাদের জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বেশি হয়।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে এক ধরনের ভাইরাস দায়ী। একে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বলে। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস আবিষ্কারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যিনি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন, তিনি ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এ জীবাণু (ভাইরাস) যে কোনভাবে, অথবা দৈহিক মিলনের ফলে সংক্রমিত হয় জরায়ু-মুখে। তবে শারীরিক মিলনের আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ মেয়েরা নিরাপদে থাকে। শতকরা ৮০ ভাগ নারী জীবনের যে কোন সময়ে ঐচঠ ভাইরাস দ্বারা এক বা একাধিক বার আক্রান্ত হতে পারে। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ২৫-৬৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। তবে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের ২-২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের লক্ষণ
×দুর্গন্ধযুক্ত প্রদাহ বা সাদাস্রাব
× ফোঁটা ফোঁটা বা অনিয়মিত রক্তস্রাব বিশেষ করে যৌন মিলনের পরপর যোনীপথে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখা বা অধিক পরিশ্রম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের পর হঠাৎ রক্ত দেখা।
× অনেকদিন ধরে ক্যান্সার থাকলে , বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন:
× সব সময় পচা পানির মতো দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব দেখা
× সব সময় রক্ত যাওয়া
× প্রস্রাব বা পায়খানার রাস্তায় অসুবিধা হওয়া
×কোমর বা মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা
× তলপেটে চাকা অনুভব করা
প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সম্পাদন করা যায়। দেরি হয়ে গেলে সবকিছুরই কঠিন সমস্যা দেখা দেয়, তখন কেমো বা রেডিওথেরাপি শুধু ভরসা।
কিভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়
প্রথমে দেখা যাক প্রতিরোধ করা যায় কিভাবে। বর্তমানে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অতি কার্যকর টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। টিকা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত জরায়ু পরীক্ষা ও সচেতনতা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের আক্রান্তের হার কমিয়ে দেয় বা খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার প্রাথমিক লক্ষণ ধরা যায়।
১০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সব মেয়ে বা নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা নিতে পারেন। এ টিকার তিনটি ডোজ নিতে হয়।
১ম ডোজ যে কোন দিন, ২য় ডোজ ১ম ডোজের ১ মাস পর, ৩য় ডোজ ১ম ডোজের ৬ মাস পর
এ টিকা দীর্ঘমেয়াদি জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রারম্ভিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ পদ্ধতি বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে আছে।
× পেপস স্মিয়ার টেস্ট
× ভায়া টেস্ট ও কলপোস্কপি টেস্ট
× বায়োসপি
প্রজননক্ষম মেয়েদের (১৫-৪৫ বছর) বা যাদের কোনরকম সন্দেহ হচ্ছে যে, ক্যান্সার টেস্ট করা দরকার ; বছরে ১ বার বা নেগেটিভ ক্ষেত্রে ৩ বছর পর পর এ টেস্ট করতে হবে।
আমাদের দেশে প্রতিটি মেয়ে বা নারীকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন যাতে এ ঘাতকের হাত থেকে তার প্রিয়জনকে রক্ষা করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন