এনজিওগ্রাম একটি হৃদরোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে (করোনারি আর্টারি) কোনো ব্লক বা স্টেনোসিস থাকলে তা নির্ণয় করা যায়। কুঁচকির কাছে ফিমোরাল ধমনীর মাধ্যমে এ পরীক্ষা করা হয়। তবে হাতের রেডিয়াল বা আলনার ধমনীর মাধ্যমেও এনজিওগ্রাম করা হয়। এনজিওগ্রাম করার জন্য রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু কুঁচকির কাছে ওষুধ দিয়ে অবশ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত পরীক্ষা। সাধারণত এনজিওগ্রাম করতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। এ জন্য রোগীকে ১২-২৪ ঘণ্টার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তবে রেডিয়াল বা আলনার ধমনীর মাধ্যমে এনজিওগ্রাম করলে রোগী হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন পড়ে না।
এনজিওগ্রামে যদি রক্তনালিতে ৭০% ব্লক ধরা পড়ে, তবে তা তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে এনজিওগ্রাম করতে সেন্টার ভেদে ১২ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়।
এনজিওগ্রাম যাদের করা হয়
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি, রক্তনালির ব্লক দেখার জন্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। তা ছাড়া যাদের ইটিটি পজিটিভ হয় অর্থাৎ করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদেরও এনজিওগ্রাম করা হয়।
এনজিওগ্রাম করার আগে পরীক্ষা
এনজিওগ্রাম করার আগে রোগীর উপযুক্ততা যাচাইয়ের পরীক্ষা করা হয়। রোগীর সিবিসি, বিটি, সিটি, ব্লাড ইউরিয়া, সিরাম ক্রিয়েটিনিন, সিরাম ইলেকট্রলাইট, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, এইচবিএসএজি, ভিডিআরএল, অ্যান্টি এইচসিভি, এইচআইভি, ব্লাড গ্রুপিং করা প্রয়োজন।
এনজিওগ্রামে ঝুঁকি
এনজিওগ্রামে অল্প বা বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে। তা ছাড়া কুঁচকির জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, বেশি পরিমাণে ব্যথার কারণে ভ্যাসো ভ্যাগাল অ্যাটাক, করোনারি ও পায়ের ধমনীতে ডিসেকশন বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া রোগীর রক্তচাপ কমে যেতে পারে ও অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন হতে পারে। তবে আধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টারে রক্তপাত ছাড়া অন্য সমস্যাগুলো হয় না বললেই চলে।
এনজিওগ্রামে যদি রক্তনালিতে ৭০% ব্লক ধরা পড়ে, তবে তা তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে এনজিওগ্রাম করতে সেন্টার ভেদে ১২ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়।
এনজিওগ্রাম যাদের করা হয়
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি, রক্তনালির ব্লক দেখার জন্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। তা ছাড়া যাদের ইটিটি পজিটিভ হয় অর্থাৎ করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদেরও এনজিওগ্রাম করা হয়।
এনজিওগ্রাম করার আগে পরীক্ষা
এনজিওগ্রাম করার আগে রোগীর উপযুক্ততা যাচাইয়ের পরীক্ষা করা হয়। রোগীর সিবিসি, বিটি, সিটি, ব্লাড ইউরিয়া, সিরাম ক্রিয়েটিনিন, সিরাম ইলেকট্রলাইট, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, এইচবিএসএজি, ভিডিআরএল, অ্যান্টি এইচসিভি, এইচআইভি, ব্লাড গ্রুপিং করা প্রয়োজন।
এনজিওগ্রামে ঝুঁকি
এনজিওগ্রামে অল্প বা বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে। তা ছাড়া কুঁচকির জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, বেশি পরিমাণে ব্যথার কারণে ভ্যাসো ভ্যাগাল অ্যাটাক, করোনারি ও পায়ের ধমনীতে ডিসেকশন বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া রোগীর রক্তচাপ কমে যেতে পারে ও অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন হতে পারে। তবে আধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টারে রক্তপাত ছাড়া অন্য সমস্যাগুলো হয় না বললেই চলে।
বেশ কিছু ব্লগে দেখেছি সবাই হার্ট ফাউন্ডেশন এর কথা বলছেন, কিন্তু আমি আমার রোগীকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক এ দেখিয়েছি প্রফেসর ডাঃ লিয়াকত স্যার কে। কারন তিনি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। ডাঃ বলেছেন এনজিওগ্রাম করানোর জন্যে। আমি জানতে চাই এনজিওগ্রাম করার সময় যদি ব্লক ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে সাথে সাথে রিং পরানো কি জরুরী ? এছাড়া এনজিওগ্রাম এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি ? জানালে উপকৃত হব।
উত্তরমুছুনএনজিওগ্রাম করার পর রিং পরানোর মত অবস্হা হলে তা করানোই ভালো।এটা অবশ্য ব্লকেজের ধরনের উপর নির্ভর করে, এবং সংশ্লিস্ট ডাক্তারই এব্যপারে ভালো ধারনা দিতে পারবেন। না, জানা মতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে ঔষধ(যেমন, প্রসার, কোলস্ট্রোল) ব্যবহার করলে অনেকটাই আশংকা মুক্ত জীবন যাপন করা যায়।
উত্তরমুছুনআমার বাবা heart এর ব্লক একতা ১০০%, আজ ২,৫ বছর। এবং বাকি ৩ টি ও ছিল সেগুলু ভাল অনেক কমে গিয়েছে। ৯৯% টাই ১০০% এখন। উনি ২ বার ইনজিওগ্রাম করছে। এখন আরেক বার করলে কোন সমস্যা হবে কিনা জানালে উপকৃত হব। কতবার ইনজিওগ্রাম করা যায় সেটা জানালেও ভাল হত।।
উত্তরমুছুন